মুকেশ অম্বানি।
প্রকল্পের বাস্তবায়নও হয়নি। অথচ মোটা অঙ্কের সরকারি অনুদান মিলেছে। তা নিয়ে গত কয়েক মাসে কম বিতর্ক হয়নি। কম সমালোচনার মুখে পড়েনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রস্তাবিত জিও ইনস্টিটিউট। তবে তাতে বোধহয় এতটুকু বিব্রত নন সংস্থার কর্ণধার মুকেশ অম্বানী। তাই ভারতের ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় রূপান্তরিত হওয়ার সব কৃতিত্ব জিওকেই দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ডাক দিলেন দেশজুড়ে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটানোর। যাতে আগামী দু’দশকের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় ধনী দেশে পরিণত হয় ভারত।
নয়াদিল্লিতে সোমবার থেকে ২৪তম আন্তর্জাতিক মোবাইল কম্পিউটিং এবং নেটওয়ার্ক সম্মেলন শুরু হয়েছে। চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। মঙ্গলবার সেখানে হাজির ছিলেন রিলায়েন্স কর্ণধার। যুব সমাজকে উৎসাহিত করতে বলেন, ‘‘ডিজিটাল দুনিয়ায় পা রেখেছে ভারত। তাতে অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটেছে। ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তি ব্যবহারে এক সময় গোটা পৃথিবীতে ১৫৫ তম স্থানে ছিলাম আমরা। কিন্তু মাত্র ২৪ মাসে তালিকার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছি । চেষ্টা করলেও কেউ আমাদের ছুঁতে পারবে না।’’ বিনামূল্যে গ্রাহকদের ভয়েস কল এবং এসএমএস পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে রিলায়েন্স জিও। নামমাত্র খরচে মিলছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। সেই কৃতিত্ব তুলে ধরতেই এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সেইসঙ্গে দেশ জুডে় ডিজিটাল বিপ্লব ঘটানোর পরামর্শ দেন। বলেন, ভারত বিশ্ব অর্থনীতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার পথে এগোচ্ছে। প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ যুব সমাজই এ দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। তাতে ভর করে বিশ্বের তৃতীয় ধনী দেশ হওয়ার পথে এগোচ্ছি আমরা। এর আগে তিনবার শিল্প বিপ্লব ঘটেছে। তাতে বিশেষ ভূমিকা ছিল না আমাদের। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কিন্তু আমাদের ওপরই নির্ভর করছে। কারণ এই ভারত আগের ভারত নয়। বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হল যুব সমাজ। যারা প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ। তাদের চিন্তা-ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে আর কে আটকায়! শুধুমাত্র ইন্টারনেটের ব্যবহার, বিনামূল্যে মোবাইল পরিষেবাই নয়, বরং প্রশাসনিক, বাণিজ্যিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটাতে পারলে ভারতের উন্নতি কেউ আটকাতে পারবে না বলে দাবি করেন রিলায়েন্স কর্ণধার।
আরও পড়ুন: দু’বছরে জিএসটি পরিষদের ৩০টি বৈঠক, সিদ্ধান্ত মোট ৯১৮টি
আরও পড়ুন: উর্জিতের ভবিষ্যৎ ঘিরে জল্পনা, মুখ খুললেন রাহুল
তিনি জানান, নব্বইয়ের দশকে রিলায়েন্স যখন তৈল শোধনাগার এবং পেট্রো রাসায়নিক প্রকল্প গড়ে তুলছিল, সেই সময় দেশের জিডিপি ছিল প্রায় ৩৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। সবে অর্থনৈতিক দূরবস্থা কাটিয়ে উঠছিল দেশ। তখন কেউই ভারতকে নিয়ে আশাবাদী ছিল না। তবে তাদের ভুল প্রমাণিত করেছি আমরা। বর্তমানে আমাদের জিডিপি ৩ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার। তাই বলাই যায়, বিশ্বের তৃতীয় ধনী দেশ হতে আর দেরি নেই। আগামী দু’দশকের মধ্যেই তা সম্ভব হবে। বিশ্ব অর্থনীতিকে শুধুমাত্র নেতৃত্বই দেবে না, বরং সামগ্রিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ভারত।