ভারতের অর্থনীতি যে ভাবে এগোচ্ছে, তাতে এই অর্থবর্ষে (২০১৫-’১৬) বৃদ্ধি ৭.৫% ছোঁবে বলে পূর্বাভাস দিল আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ)। সে ক্ষেত্রে সব থেকে দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকা সম্ভাবনাময় অর্থনীতি হিসেবে ভারত এ বারই পড়শি চিনের শিরোপা ছিনিয়ে নেবে বলে তাদের ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক রিপোর্টে বলেছে আইএমএফ।
চলতি অর্থবর্ষে একই হারে বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্কও। এক ধাপ এগিয়ে তাদের ভবিষ্যদ্বাণী, আগামী ২০১৭-’১৮ সালের মধ্যেই ৮% বৃদ্ধির মুখ দেখে ফেলবে ভারত। তবে এ বছরের জন্য তাদের পূর্বাভাস কেন্দ্র (৮-৮.৫%) ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (৭.৮%) তুলনায় কম।
ভারতের অর্থনীতি নিয়ে এখন বেশ কিছু দিন ধরেই আশাবাদী আইএমএফ ও বিশ্বব্যাঙ্ক। তাদের যুক্তি, ভারত যেখানে পরিষেবা নির্ভর বৃদ্ধি থেকে উৎপাদন ও সেই সূত্রে লগ্নি-ভিত্তিক উন্নয়নের পথে হাঁটতে চেষ্টা করছে, সেখানে চিন চলছে ঠিক তার উল্টো পথে। আর সেটাই ফারাক তৈরি করে দিচ্ছে দু’পক্ষের এগোনোর গতিতে।
গত মাসেই ভারতকে ‘বৃদ্ধির উজ্জ্বল জায়গা’ হিসেবে বর্ণনা করে গিয়েছেন আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ। এই মন্তব্যের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এ দিন তাঁর সংস্থার রিপোর্ট বলেছে, সংস্কারের উদ্যোগ, গতি পেতে থাকা লগ্নি ও বিশ্বজুড়ে তেলের দর তলানিতে ঠেকা — সব কিছুই ভারতে বৃদ্ধির হার বাড়াতে সহায়ক হবে। তবে তার জন্য অটল থাকতে হবে সংস্কারের রাস্তায়। জোর দিতে হবে পরিকাঠামো নির্মাণে। নইলে ঘরে তোলা যাবে না তেলের দর কমার সুযোগও।