ভারত দারুণ দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাল বন্ধু। আপাত ভাবে এমন প্রশংসাচ্ছলে কথা শুরুর পরেই বাণিজ্য নিয়ে ফের ভারতের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সপ্তাহে এই নিয়ে দু’বার।
শনিবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে লাস ভেগাসে এক সভায় ট্রাম্প বলেন, ভারত কোনও কোনও মার্কিন পণ্যে ১০০ শতাংশেরও বেশি শুল্ক চাপায়। অথচ একই ধরনের পণ্যে আমেরিকা কোনও কর বসায় না। ট্রাম্পের দাবি, এ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের অভিযোগ, অনৈতিক বাণিজ্যের সুবিধা নেয় ভারত। তাঁর দাবি, এই ধরনের ভারসাম্যহীন বাণিজ্যের কারণে দীর্ঘ দিন ধরে বছরে ৮০,০০০ কোটি ডলার হারিয়েছে আমেরিকা। তা বরদাস্ত করা হবে না। এর প্রতিকার হিসেবেই প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি। একই সঙ্গে শুল্কের বিষয়টি নিয়ে মার্কিন সেনেটের রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট সদস্যদেরও তোপ দেগেছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, সেনেটের বহু সদস্যই চান না যে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তাঁরা মনে করেন এটা অবাধ বাণিজ্যের পরিপন্থী। কিন্তু তাঁর প্রশাসন বাণিজ্যে কোনও ‘কারচুপি’ বরদাস্ত করবে না।
গত ২৪ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে বাণিজ্য নিয়ে নতুন আইন ঘোষণার সময়ে অবশ্য ট্রাম্প নিজেই বলেছিলেন যে, মাত্র দু’মিনিটের কথায় ভারত দামি বিদেশি মোটরসাইকেলের শুল্ক ১০০% থেকে কমিয়ে ৫০% করেছে। যা আমেরিকার ২.৪ শতাংশের চেয়ে বেশি হলেও, আগের তুলনায় ভাল। বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, শনিবার নিজের সমর্থকদের মন জয়ের লক্ষ্যেই ফের ভারতকে নিশানা করলেন তিনি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতের বিরুদ্ধে চড়া শুল্কের অভিযোগ আনছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারতকে তকমা দিয়েছেন ‘শুল্কের রাজা’ নামে। হার্লে ডেভিডসন বাইক থেকে মার্কিন হুইস্কি— তোপ দেগেছেন এই সব পণ্যে শুল্ক বেশি বলে। গত নভেম্বরে মার্কিন বাজারে অন্তত ৫০টি ভারতীয় সামগ্রীর বিনাশুল্কে বিক্রির সুবিধাও ফিরিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বলেছে ভারত-সহ উন্নয়নশীল দেশগুলিকে দেওয়া রফতানির সুবিধা (জিএসপি) প্রত্যাহারের কথা।