একই দিনে জোড়া ধাক্কা অর্থনীতিতে।
মঙ্গলবার সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে, পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি অক্টোবরে এক ঝটকায় ২.৬০% থেকে বেড়ে ছুঁয়েছে ৩.৫৯%, যা গত ছ’মাসে সবচেয়ে বেশি। আবার এ দিনই জানা গিয়েছে, অক্টোবরে রফতানিও সরাসরি কমেছে ১.১২%। প্রায় এক বছর বাদে সঙ্কুচিত হল রফতানি। সেপ্টেম্বরেই ছ’মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অঙ্কে পৌঁছনোর পরে তা এ বার নামল ২,৩০০ কোটি ডলারে (১,৫০,৩২৫ কোটি টাকা)। রফতানিকারীদের যুক্তি, জিএসটি চালুর পরে তাঁদের হাতে থাকা নগদে টান পড়াই এর জন্য দায়ী।
অর্থনীতি বিষয়ক সচিব এস সি গর্গের অবশ্য দাবি, এখনও মরসুমি কৃষিপণ্য বাজারে না-আসায় বাড়ছে মূল্যবৃদ্ধি। সার্বিক ভাবে গোটা ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষের জন্য তা ৪ শতাংশের নীচেই থাকবে।
মূলত খাদ্যপণ্যের আগুন বাজার ও জ্বালানির চ়ড়া দরের জেরেই পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসেব করা সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার অক্টোবরে ৩.৫৯% ছুঁয়েছে। যার মধ্যে শুধু পেঁয়াজের দামই বেড়েছে ১২৭.০৪%। আনাজ ৩৬.৬১% ও ডিম, মাছ, মাংস বেড়েছে ৫.৭৬% হারে। অবশ্য ডালের দাম কমেছে ৩১.০৫%, আলু ৪৪.২৯%।
জ্বালানি, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রেও মূল্যবৃদ্ধি ছুঁয়েছে ১০.৫২%। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম চড়তে থাকায় গত তিন মাস ধরেই তা বাড়ার মুখ নিয়েছে। তবে শিল্পপণ্যের দর কমেছে ২.৬২%।
আনাজের চ়ড়া দামের জেরে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিও অক্টোবরে ছুঁয়েছে ৩.৫৮%। সাত মাসে যা সবচেয়ে বেশি। সোমবারই সরকারি হিসেব বলেছে, অক্টোবরে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১.৯%।
পাশাপাশি, মঙ্গলবারই বাণিজ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, রফতানি সরাসরি ১.১২% কমায় বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ১,৪০০ কোটি ডলার, তিন বছরে সবচেয়ে বেশি। ২০১৬-র অক্টোবরে তা ছিল ১,১১৩ কোটি ডলার। রফতানি কমার পাশাপাশি আমদানি ৭.৬% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭১১ কোটি ডলার।
রফতানিকারীদের সংগঠন ফিও-র দাবি, চার মাস জিএসটি মেটালেও কাঁচামাল খাতে আগে মেটানো কর ফেরত মেলেনি। ফলে নগদের ঘাটতিতে ভুগছেন রফতানিকারীরা, যা ছাপ ফেলেছে পরিসংখ্যানে।