Piaggio

ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার কই, প্রশ্ন পিয়াজিয়ো কর্তার

জ্বালানি খাতে বিপুল আমদানি খরচ গুনতে হয় কেন্দ্রকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২১ ০৬:০৬
Share:

—ছবি সংগৃহীত

জ্বালানি আমদানির খরচ কমাতে বহু দিন ধরেই ভারতে পুরোদস্তুর বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারে জোর দিচ্ছে মোদী সরকার। কবে থেকে রাস্তায় শুধু ওই গাড়িই ছুটবে, বিভিন্ন সময় তার লক্ষ্যও বেঁধে দিচ্ছেন মন্ত্রীরা। তবে গাড়ি শিল্পে বিশ্বের অন্যতম অগ্রণী পিয়াজিয়ো গোষ্ঠীর ভারতীয় কর্তা সুধাংশু আগরওয়ালের দাবি, দেশে এখনও বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার ও সহায়ক পরিবেশই গড়ে ওঠেনি। ফলে আরও বছরখানেক লাগবেই। এর আগেও এই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে বার্তা দিয়েছে শিল্প।

Advertisement

জ্বালানি খাতে বিপুল আমদানি খরচ গুনতে হয় কেন্দ্রকে। পাশাপাশি পেট্রল-ডিজেল দূষণ বাড়ায়। সব মিলিয়ে অন্যান্য দেশের পথে হেঁটেই বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি ও ব্যবহারে জোর দিচ্ছে ভারত। যদিও গাড়ি শিল্পের দাবি, এত বড় প্রযুক্তিগত পরিবর্তন তড়িঘড়ি চাপিয়ে দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। এ জন্য বিপুল লগ্নি চাই। কিন্তু ভারত স্টেজ-৬ দূষণ মাপকাঠির গাড়ি তৈরির জন্য গত কয়েক বছরে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা ঢালার পরে এখনই আর বড় অঙ্কের পুঁজি ঢালা সহজ নয়।

সম্প্রতি কলকাতায় নতুন স্কুটার বাজারে আনার ফাঁকে পিয়াজিয়ো-র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুধাংশু দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি আনা নিয়ে কেন্দ্রের সদিচ্ছাকে স্বাগত জানালেও, এখনই বাস্তবে সেই পথে হাঁটার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। দাবি করেন, এমন গাড়ির প্রযুক্তি তাঁদের হাতে রয়েছে। এ দেশে তিন চাকার বৈদ্যুতিক গাড়িও এনেছেন। তবে এখানে সার্বিক ভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার সম্পর্কে তাঁরা নিশ্চিত নন। তিনি বলেন, ‘দেশে সেই বাজার ও পরিবেশ সবেমাত্র জন্ম নিয়েছে। আরও পরিণত হওয়া জরুরি। কমপক্ষে বছরখানেক লাগবেই।’’

Advertisement

সুধাংশুর ব্যাখ্যা, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির খরচ যেমন আরও কমা দরকার, তেমনই তার প্রযুক্তিগত উন্নয়ন জরুরি। তাঁর দাবি, বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে অনেক বেশি হারে তা তৈরি হওয়া দরকার। আবার গাড়ির দাম কমলে, তবেই চাহিদা বাড়বে। সে ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উন্নতিও নিশ্চিত করতে হবে। পরিকাঠামোর প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। দাবি করেছেন, উপযুক্ত প্রযুক্তি তাঁদের হাতে রয়েছে। কিন্তু সহায়ক পরিবেশ তৈরি হলে তবেই সে পথে হাঁটতে দ্বিধা থাকবে না।

যদিও অনেকের মতে, করোনার আবহে যেখানে চাহিদাই তলানিতে, সেখানে বৈদ্যুতিক গাড়ি আনার কাজে আরও অনেক বছর লাগতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement