প্রতীকী ছবি।
আপত্তি তুলেছে বিশেষজ্ঞ সংস্থা। তাই রেলের নিজস্ব উৎপাদক সংস্থাগুলিকে মিশিয়ে একটি কর্পোরেট সংস্থা তৈরির সিদ্ধান্ত থেকে সরল কেন্দ্র। বদলে দু’টি সংস্থা গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। রেল সূত্রের খবর, শীঘ্রই প্রস্তাবটি সায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যাবে।
মোদী সরকার দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে ১০০ দিনের পরিকল্পনায় ইন্ডিয়ান রেলওয়ে রোলিংস্টক কোম্পানি তৈরির কথা বলেছিল গত জুনে। প্রস্তাব ছিল, তা হবে ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি, রেল কোচ ফ্যাক্টরি, রেল হুইল ফ্যাক্টরি-সহ এ রাজ্যের চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস, বারাণসীর ডিজেল লোকোমোটিভ ওয়ার্কসের মতো আটটি প্রধান উৎপাদক সংস্থাকে মিশিয়ে। কিন্তু বেঁকে বসেছে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ সংস্থা।
নতুন পরিকল্পনা, রেলের কোচ এবং চাকা তৈরির সংস্থাগুলিকে নিয়ে হবে রোলিংস্টক কোম্পানি। আর ইঞ্জিন তৈরির সংস্থাগুলিকে মিশিয়ে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে মোটিভ পাওয়ার কোম্পানি। সূত্রের খবর, কোচ এবং ইঞ্জিন তৈরিতে ফারাক থাকার কারণেই দুই সংস্থাকে আলাদা রাখার সুপারিশ। রেল কর্তাদের দাবি, এতে আধুনিক প্রযুক্তি আমদানির সঙ্গে লগ্নি পেতেও সুবিধা হবে। বছরে ওই সব সংস্থার ব্যবসার অঙ্ক প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। কর্মী ৪৫ হাজার। বেতন বাবদ বছরে লাগে প্রায় ৩১০০ কোটি।
একাংশ অবশ্য বলছেন, এই ব্যবস্থা আসলে মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বন্দ্ব ঠেকাতেও। কর্তৃত্ব নিয়ে রেলে টানাপড়েন চলে যে দুই বিভাগের। খবর, কোচ নির্মাণ সংস্থার ভার মেকানিক্যাল ও লোকমোটিভ তৈরির ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ পাচ্ছে। তবে কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কায় ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় নেমেছে কর্মী ইউনিয়নগুলি।