দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া। ফাইল চিত্র
করোনাকালে আটকে থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করছে রেল। রবিবার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ভারতীয় রেল। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে শুরু হওয়া যে নিয়োগ প্রক্রিয়া করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ ছিল তা শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওই নিয়োগের জন্য যে প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা হয়েছে তার ফল আগামী ১৫ জানুয়ারি প্রকাশিত হবে। এর পরে ফেব্রুয়ারিতে নেওয়া হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা। তবে করোনা পরিস্থিতির উপরে নজর রেখে সরকারের নির্দেশ মেনেই পরীক্ষা নেবে রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর ২৮ ফেব্রুয়ারি রেলের পক্ষে দ্বাদশ শ্রেণি পাশেদের জন্য ১০ হাজারের বেশি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। একই সঙ্গে প্রকাশ করা হয় স্নাতকদের জন্য প্রায় ২৫ হাজার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। এই পর্বে সব মিলিয়ে ৩৫ হাজার ২৮১টি পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেই মতো পরীক্ষাও হয়। আবেদন করেছিলেন ১ কোটি ২৬ লাখ ৩০ হাজার ৮৮৫ জন। এর পরে আরও একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। সেটায় মোট শূন্য পদ ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৭৬৯টি। করোনাকালে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে থাকার পরে এখন মোট ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫০টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। সোমবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রেলের দাবি, এ বার ভারতের বৃহত্তম নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে।
ট্রাফিক অ্যাসিসট্যান্ট, স্টেশন মাস্টার-সহ বিভিন্ন নন টেকনিক্যাল পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। গোটা দেশে আবেদনকারীদের পরীক্ষা হয় সাত দফায়। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত কম্পিউটার নির্ভর পরীক্ষা হয়। কিন্তু সেই পরীক্ষার ফল এখনও প্রকাশ হয়নি। রেল জানিয়েছে, এখন সেই ফল প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাজ চলছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি তা রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে রেলের।
এই পরীক্ষায় যাঁরা কৃতকার্য হবেন, তাঁদের জন্য ফেব্রুয়ারিতে হবে দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক হয়েছে তাতে ১৪ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হবে কম্পিউটার নির্ভর সেই পরীক্ষা। করোনা অতিমারি পরিস্থিতি কেমন থাকে সে দিকে নজর রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মতো তৈরি হবে পরীক্ষার রুটিন। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিজ্ঞপ্তিতে চাকরির জন্য আবেদনকারীদের সতর্কও করেছে রেল। বলা হয়েছে, নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে যেন সকলে রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ড বোর্ডের ওয়েবসাইটকেই ভরসা করেন। কোনও অস্বীকৃত সূত্রের খবরকে নয়।