সাইবার হানায় ঘায়েল কর্পোরেট

সম্প্রতি এমনই কিছু ঘটনার কথা উঠে এল এক বণিকসভার অনুষ্ঠানে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানালেন, হাতানো দরপত্রের তথ্য প্রতিযোগী সংস্থার হাতে গিয়েছিল। সাইবার অপরাধের বাড়বাড়ন্তে এ ভাবেই বিপদ বাড়ছে বিভিন্ন সংস্থার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:১৮
Share:

একটি বেসরকারি সংস্থার পদস্থ কর্তা দেখলেন, মোবাইলে ভেসে উঠেছে এমডি-র নম্বর। ফোন তুলতেই নির্দেশ, বরাত পেতে সংস্থা যে দরপত্র জমা দিয়েছে তার বিশদ বিবরণ জানানোর। তড়িঘড়ি সব তথ্য জানালেন তিনি। পরে জানা গেল, এমডি ফোনই করেননি! দিন কয়েক পর দেখা গেল দরপত্রের বিচারে বরাত পেয়েছে প্রতিযোগী সংস্থা!

Advertisement

সম্প্রতি এমনই কিছু ঘটনার কথা উঠে এল এক বণিকসভার অনুষ্ঠানে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানালেন, হাতানো দরপত্রের তথ্য প্রতিযোগী সংস্থার হাতে গিয়েছিল। সাইবার অপরাধের বাড়বাড়ন্তে এ ভাবেই বিপদ বাড়ছে বিভিন্ন সংস্থার। শুধু তাদের কম্পিউটার সার্ভারে হানা নয়, পদাধিকারীদের মোবাইল, ই-মেলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও সর্বনাশ করতে পারে অপরাধীরা। ইন্ডিয়ান স্কুল অব এথিক্যাল হ্যাকিংয়ের অধিকর্তা সন্দীপ সেনগুপ্ত জানান, হোয়্যাট্‌সঅ্যাপে এমন ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে, যা গ্রাহকের অজান্তে মোবাইলে থেকে তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে।

সন্দীপবাবু বলছেন, ‘‘অনেক সময়ে সংস্থা বা কর্তার মেল আইডি সামান্য বদলে ধোঁকা দেওয়া হয়। তাই মোবাইল, কম্পিউটারের সুরক্ষাকবচ বাড়াতে হবে। চট করে যে কোনও জায়গায় ওয়াই-ফাই ব্যবহার না করাই ভাল।’’ লালবাজারের সাইবার থানার ওসি শান্তনু চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শ, সংস্থার তথ্য মূল সার্ভারের সঙ্গে অন্য সুরক্ষিত জায়গাতেও রাখতে হবে। আইনজীবী সঙ্গীতা মুখোপাধ্যায়ের মতেও, এখন সংস্থার নথি ও চুক্তিপত্র সবই নেট-মাধ্যমে হয় বলে সতর্কতা প্রয়োজন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement