আগামী ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু হলে সাধারণ ভাবে দাম কমবে। বুধবার এই দাবি করেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। পাশাপাশি, দেশ জুড়ে অভিন্ন পরোক্ষ কর ব্যবস্থা গড়ে উঠবে, যার আকার হবে বিশ্বে বৃহত্তম। নয়া জমানায় কর ফাঁকি দেওয়াও সহজ হবে না বলে আশাবাদী জেটলি।
এ দিন নয়াদিল্লিতে কমনওয়েল্থ অডিটর জেনারেলের সভায় জেটলি ফের বলেছেন, ১ জুলাই থেকেই জিএসটি চালু করার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। তবে অর্থমন্ত্রী যেহেতু দাবি করেছেন যে, নতুন কর ব্যবস্থায় রাজস্বের হেরফের হবে না, তাই দাম কী ভাবে কমবে তা নিয়ে ধন্দে গাড়ি সমেত অন্যান্য শিল্প। তাদের অভিযোগ, কোন পথে দাম কমবে, সে সম্পর্কে কোনও হদিস দেননি জেটলি। সাধারণ ভাবে শিল্পমহলের যুক্তি, নতুন কাঠামোয় করের বোঝা কমার ইঙ্গিত মেলেনি। তাই দাম কী ভাবে কমবে, সেই প্রশ্ন করেছে তারা।
কর না-কমলে গাড়ি সস্তা হওয়ার সম্ভাবনাও নেই বলে দাবি এই শিল্পের। পাশাপাশি দামি ও বড় গাড়ির উপর সেস বসানোর সিদ্ধান্ত বহাল রাখার জন্যও ক্ষুব্ধ এই শিল্পের একাংশ।
আরও পড়ুন: বিয়ের পরেই বিমা করুন
সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (সিয়াম) সূত্রের খবর, এখন ছোট চার চাকার গাড়ি, দুই ও তিন চাকার গাড়ি, বাণিজ্যিক গাড়ি এবং গাড়ি তৈরির যন্ত্রাংশে উৎপাদন ও অন্যান্য শুল্ক ধরে মোট করের পরিমাণ প্রায় ২৮ শতাংশ। বড় ও দামি গাড়িতে এর উপর সেস চাপে। ফলে বোঝা দাঁড়ায় প্রায় ৪০ শতাংশ। সিয়াম-এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সুগত সেন বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, জিএসটি চালু হলেও কর একই থাকবে। কর কমলে গাড়ির দাম কমবে, অনেকেই এই আশায় কেনার পরিকল্পনা পিছিয়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু কর না-কমলে দামও কমবে না।’’ অনেক সংস্থার কর্তাই তাঁর সঙ্গে সহমত।
জেটলি এই কর সংক্রান্ত ৫টি আইন জিএসটি পরিষদে অনুমোদনের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু গাড়ি-সহ বিভিন্ন শিল্পের ধারণা, জিএসটিতে কর কাঠামো যতটা সহজ হবে বলে আশা ছিল, এখন আর তা থাকছে না। কারণ কেন্দ্র, রাজ্য-সহ বিভিন্ন পক্ষের নিয়ন্ত্রণের জেরে কর কাঠামোর জটিলতা আদৌ কাটবে কি না তা নিয়েই ধন্দে তারা।