গত বছর সারা দেশে এটিএমের মাধ্যমে ২৯ লক্ষ ডেবিট কার্ডের তথ্য হাতিয়েছিল হ্যাকাররা। শুক্রবার লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গোয়ার।
তিনি বলেন, যে সমস্ত এটিএম হিতাচির প্রযুক্তি-পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত, সেগুলিতে ম্যালওয়ার (চলতি কথায় ভাইরাস) ঢুকিয়ে দিয়ে এই জালিয়াতি করা হয়েছিল। তবে তাঁর দাবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে দেওয়া তথ্য অনুসারে এই ঘটনায় টাকা খোয়া গিয়েছে ৩,২৯১টি কার্ডে।
উল্লেখ্য, গত বছর ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন (এনপিসিআই) জানিয়েছিল, এ ভাবে ১.৩০ কোটি টাকা খুইয়েছেন ১৯টি ব্যাঙ্কের ৬৪১ জন গ্রাহক। আশঙ্কা ছিল, ৩২ লক্ষেরও বেশি কার্ডের তথ্য গিয়েছে হ্যাকারদের হাতে। এটিএম নেটওয়ার্কে ঢুকিয়ে দেওয়া ম্যালওয়ারের মাধ্যমেই গ্রাহকদের এটিএম কার্ডের তথ্য দুষ্কৃতিদের হাতে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করেছিলেন পুলিশ ও ব্যাঙ্ক-কর্তারা।
এর পরেই আগাম সতর্কতা হিসেবে ৬ লক্ষ কার্ড বদলের কথা জানায় স্টেট ব্যাঙ্ক। একই পথে হাঁটে ব্যাঙ্ক অব বরোদা, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কও। পিন পাল্টানোর পরামর্শ দেয় এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, কানাড়া ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক পরামর্শ দেয় নিজেদের এটিএম থেকেই টাকা তুলতে।
আরও পড়ুন: জিও-কে টক্কর দিতে পাল্টা প্রকল্প আনল বিএসএনএল