ব্যাঙ্কঋণ বাকি ফেলে বিদেশে আত্মগোপন করে থাকা বিজয় মাল্যকে ইন্টারপোলের মারফত গ্রেফতার করিয়েই দেশে ফেরাতে চাইছে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তবে সেই আর্জি মেনে বিশ্ব জুড়ে মাল্যের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস বা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আগে ইডি-র কাছে কয়েকটি বিষয়ের ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠাল ইন্টারপোল। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের প্রশ্ন, এই ব্যাখ্যা চাওয়ার অর্থ কি আসলে ইডি-র আর্জি খারিজেরই ইঙ্গিত? ভারতের তদন্তকারী সংস্থাটির অবশ্য দাবি, এটা রেওয়াজ বহির্ভূত নয় মোটেই। অনেক মামলার ক্ষেত্রেই এ ভাবে বাড়তি তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়। বরং ইডি-র তদন্তকারী অফিসারদের আশা, যথাযথ তথ্য জুগিয়ে ইন্টারপোলের প্রয়োজন মেটাতে পারবেন তাঁরা।
ইডি সূত্রের খবর, মাল্যের বিরুদ্ধে তারা যে আইনি পদক্ষেপ করেছে, তারই নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে বলেছে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক থেকে কিংগ্ফিশারের ধার নেওয়া ৯০০ কোটি টাকার একাংশ বেআইনি ভাবে সরানো এবং আরও কিছু আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে কালো টাকা প্রতিরোধ আইনের আওতায় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে ইডি।
ইডি-র তরফে দাবি, ‘‘ওই তহবিল নয়ছয়ের মামলা সম্পর্কেই কিছু বাড়তি তথ্য দিতে বলেছে ইন্টারপোল। তারা কিংফিশার কর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য ইডি-র অনুরোধ খারিজ করার কথা বলেনি। আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাটির চাওয়া ব্যাখ্যার উত্তর দিয়ে যথাযথ ভাবে দেওয়া হবে।’’
উল্লেখ্য, ভারতে ৯০০০ কোটি টাকার বেশি ব্যাঙ্কঋণ বাকি ফেলে আচমকাই মাল্য দেশ ছাড়েন ২ মার্চ। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর তিনি এখন ব্রিটেনে। বার বার সমন জারির পরেও তাঁকে হাজির করা যায়নি আদালতের সামনে। তার পরে গত মাসেই মাল্যের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারির আর্জি জানিয়ে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয় ইডি।