— প্রতীকী ছবি।
মাসে মাসে ৭,০০০ টাকা বিনিয়োগ। আর তাতেই আঙুল ফুলে হতে পারে কলাগাছ! মেয়াদপূর্তির পর ৫৭ লক্ষের বেশি অর্থ হাতে পাবেন গ্রাহক। না, কোনও চিটফান্ড বা স্টকের মতো ঝুঁকিপূর্ণ লগ্নি নয়। ব্যাঙ্ক-ডাকঘরের কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পে রয়েছে এই সুবিধা। এর নাম ‘পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড’ বা পিপিএফ। কী ভাবে এর থেকে হাতে আসবে মোটা রিটার্ন, আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
কেন্দ্র পরিচালিত দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষিত সঞ্চয় প্রকল্প হল পিপিএফ। এতে সুদের হার শেয়ারবাজারের সূচকের ওঠা-নামার উপর নির্ভরশীল নয়। ফলে পিপিএফের লগ্নিকারীরা নিশ্চিত রিটার্ন পেয়ে থাকেন। এতে ন্যূনতম ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে হয়। ফলে সন্তানের উচ্চ শিক্ষা, বিয়ে বা অবসরের পর ভাল সঞ্চয় হাতে পেতে এটি অন্যতম বিকল্প হতে পারে। পিপিএফ সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত প্রকল্প হলেও এতে সুদের হার স্থির নয়। পর্যায়ক্রমে তা বদলাতে থাকে। বর্তমানে এতে বার্ষিক ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার।
পিপিএফ থেকে রিটার্নের বিষয়টি একটি উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নেওয়া যেতে পারে। ধরা যাক কোনও ব্যক্তি মাসে ৭,০০০ টাকা করে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে লগ্নি করছেন। অর্থাৎ বছরে তাঁর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ৮৪ হাজার টাকা। ১৫ বছরে সেই অঙ্কই বেড়ে হবে ১২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এখন বার্ষিক সুদের হার ৭.১ শতাংশই থাকলে মেয়াদপূর্তির পর ২২ লক্ষ ৭৮ হাজার ১৯৭ টাকা পাবেন ওই গ্রাহক। অর্থাৎ সুদ বাবদ ১০ লক্ষ ১৮ হাজার ১৯৭ টাকা পাবেন তিনি।
এই হিসাবে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ২৫ বছরের জন্য পিপিএফে লগ্নি করলে রিটার্নের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫৭.৭২ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রের এই সঞ্চয় প্রকল্পটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এতে চক্রবৃদ্ধি হারে হিসাব করা হয় সুদ। তবে সেটা বার্ষিক ৭.১ শতাংশ থাকলে তবেই ওই পরিমাণ টাকা পাবেন লগ্নিকারী। সুদের হার কেন্দ্র আরও বাড়ালে পিপিএফ থেকে আরও বেশি রিটার্ন পাবেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু সুদ কমলে হ্রাস পাবে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ।