চড়া জ্বালানির দাম আর কড়া প্রতিযোগিতায় রক্ত ঝরছিল এতদিন। এ বার ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। তাই দেশ জুড়ে উড়ান বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে জেট এয়ারওয়েজ। এবং তারই অঙ্গ হিসেবে কলকাতা থেকে বছর দুয়েক আগে তুলে নেওয়া ব্যাঙ্কক উড়ান আবার নতুন করে শুরু করতে চলেছে তারা।
শুক্রবার, মুম্বইয়ে আনন্দবাজারকে এ কথা জানালেন জেট এয়ারওেজের কর্ণধার নরেশ গয়াল। তাঁর কথায়, ‘‘এত দিন ভাবার মতো অবস্থায় ছিলাম না। এ বার আমরা লাভ করতে শুরু করেছি। কলকাতা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ শহর। তাই, আবার সেখান থেকে ব্যাঙ্ককের উড়ান চালু করব। বাড়াব অভ্যন্তরীণ উড়ানও। এ ছাড়া, পরিকল্পনা আছে কলকাতাকে গুরুত্ব দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতেও উড়ান বাড়ানোর।’’
২০১৫-১৬ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ২২৬ কোটি টাকা লাভ করেছে জেট। এটা মূলত সম্ভব হয়েছে এতিহাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ব্যবসা করার কারণেই। আগের বছর একই সময় লোকসান হয়েছিল ২৫৮ কোটি। সংস্থার সিইও ক্রেমার বল এ দিন বলেন, ‘‘এত দিন ধরে যা লোকসান হয়েছে তা পোষাতে সময় লাগবে। সবে লাভ করতে শুরু করেছি। আশা করছি, ২০১৭-র মধ্যে সমস্ত লোকসান মেটাতে পারব।’’
এ দিন মুম্বইয়ে ছিল সংস্থা ২৩ তম বার্ষিক সাধারণ সভা। তার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নরেশ। সম্প্রতি জেট এয়ারে টাকা ঢেলেছে এতিহাদ এয়ারলাইন্স। তাদের হাতে এখন গয়ালের সংস্থার ২৪% শেয়ার। এ দিন ইতিহাদের সিইও জেমস মরগ্যানও বলেন, শুধু জেট নয়, এই চুক্তির ফলে লাভ হয়েছে এতিহাদেরও।
এ ছাড়া, একের পর এক বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কোড শেয়ার ব্যবসাতেও নেমেছে জেট। যার ফল হিসেবে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে তাদের। সম্প্রতি ভার্জিন অ্যাটলান্টিক এয়ারওয়েজও জেটের সঙ্গে কোড শেয়ার করেছে। ফলে অন্য শহরের মতো কলকাতা থেকেও জেটের যাত্রীরা দিল্লি হয়ে ভার্জিন অ্যাটলান্টিকের উড়ানে অন্যত্র সফরের সুযোগ পাবেন।