—ফাইল চিত্র।
আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত বেসরকারি বিমান সংস্থা জেট এয়ারওয়েজের চাপ আরও বাড়ল। সোমবার তারা স্টক এক্সচেঞ্জগুলিকে জানিয়েছে, যাঁরা সংস্থার ডিবেঞ্চার কিনেছিলেন তাঁদের মঙ্গলবার সুদ পাওয়ার কথা। কিন্তু নগদের সমস্যার জন্য এখনই সেই সুদ দেওয়া সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি যে সমস্ত সংস্থার কাছ থেকে বিমান ভাড়া করে জেট, তাদের পাওনা মেটাতে না পারায় এ দিন নতুন করে চারটি বিমান বসাতে হয়েছে নরেশ গয়ালের সংস্থাকে। জেটের বিবৃতি অনুযায়ী, এই নিয়ে তাদের মোট ৪১টি বিমান বসে গেল।
জেটের ওয়েবসাইট বলছে, সংস্থার বিমানের সংখ্যা এখন ১১৯। অর্থাৎ প্রায় এক-তৃতীয়াংশই এখন উড়তে পারছে না। যদিও সম্প্রতি অন্যতম অংশীদার এতিহাদকে তারা জানিয়েছিল, প্রায় ৫০টি বিমান এখন বসে। অনেকের মতে, লিজদাতা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বিমান ফিরিয়েছে। সেই হিসেব বাদ দিয়ে বসা বিমানের সংখ্যা এখন ৪১।
নগদের সমস্যায় জর্জরিত জেটের পাইলট এবং ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন নিয়মিত নয়। বিমানের ভাড়া দিতে না পারায় বাতিল হচ্ছে একের পর এক উড়ান। আমস্টারডাম ও আবু ধাবি থেকে বিদেশে পরিষেবা দিত জেট। সোমবার থেকে আবু ধাবির পরিষেবা বন্ধ করেছে তারা। এই অবস্থায় সংস্থার সমস্যা বাড়াল ডিবেঞ্চার ক্রেতাদের সুদ দিতে না পারা। তবে সেই অঙ্ক কত তা অবশ্য খোলসা করেনি জেট।
ঘটনা হল, ধার শোধ করতে না পারার ঘটনা জেটের এই প্রথম নয়। ২ জানুয়ারি বৈদেশিক ঋণও শোধ করতে পারেনি তারা। তাদের মোট ধারের অঙ্ক এখন ৮,০০০ কোটি টাকা।