ঝুঁকি নিয়ে পাট চাষেই মিলছে মুনাফা, দাবি

গত দু’বছর রাজ্যে প্রচুর পাট উৎপাদন হলেও মান ছিল তুলনায় খারাপ। ফলে জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (জেসিআই) কেন্দ্রের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কিছু পাট কিনলেও, বাকিটা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামেই বাজারে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন চাষিরা।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৩৯
Share:

গত দু’বছর রাজ্যে প্রচুর পাট উৎপাদন হলেও মান ছিল তুলনায় খারাপ। ফলে জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (জেসিআই) কেন্দ্রের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কিছু পাট কিনলেও, বাকিটা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামেই বাজারে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন চাষিরা। এ বছর অবশ্য ছবিটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। বেড়েছে ভাল মানের কাঁচা পাটের চাহিদা। ফলে চাষিরা বাজারে ভাল দাম পাচ্ছেন। গত দু’বছর ক্ষতির মুখোমুখি হওয়ার পরেও এ বছর যাঁরা ঝুঁকি নিয়ে পাট চাষ করেছিলেন, তাঁরা এখন লাভের কড়ি ঘরে তুলছেন। জেসিআই সূত্রের বক্তব্য, কেন্দ্রের আই-কেয়ার প্রকল্পে উন্নত মানের বীজ পাওয়ার পাশাপাশি পাট পচানোর সময়েও চাষিরা বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ করেছেন। ফলে পাটের মান ভাল হয়েছে।

Advertisement

জেসিআইয়ের এক কর্তা জানাচ্ছেন, প্রতি কুইন্টাল পাটের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ৩,৭০০ টাকা হলেও একটু ভাল মানের পাট (টিডিএন-৩) ৩,৯০০-৪,০০০ টাকায় বাজারে বিক্রি করছেন চাষিরা। মালদহ, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদের বহু চাষিই ভাল দাম পাচ্ছেন। আরও উন্নত মানের পাটের (টিডিএন-২) দাম খোলা বাজারে হয়েছে ৪,৩০০ টাকা। গত দু’তিন বছরে পাটের দাম এই জায়গায় ওঠেইনি। জেসিআইয়ের দাবি, ইতিমধ্যেই তারা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ৫৫,০০০ কুইন্টাল বিভিন্ন মানের পাট কিনেছে।

বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, দু’বছর দাম না পাওয়ায় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বহু চাষি এ বছর পাট চাষ করেননি। গত বছর যেখানে উৎপাদন হয়েছিল ৮৬ লক্ষ বেল (১৮০ কেজিতে ১ বেল), এ বার তা অনেকটাই কম। সে কারণে ভাল মানের পাট উৎপাদনের পাশাপাশি চাহিদার সঙ্গে জোগানেরও কিছুটা ফারাক রয়েছে। ফলে বাজার মূল্য অনেকটাই বেড়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন