এখনও মাথাব্যথা ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ
Share Market

বাজারের চোখ ব্যালটেই

যে তালিকায় অন্যতম দেশের ব্যাঙ্কগুলির অনুৎপাদক সম্পদ বৃদ্ধি ও সেই খাতে সংস্থান বাড়াতে গিয়ে লোকসানের ধাক্কা বা লাভে হোঁচট। লগ্নিকারীদের রক্তচাপ বাড়িয়েছে কর্নাটক বিধানসভার ভোটের প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় বিজেপি এবং কংগ্রেসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিতও।

Advertisement

অমিতাভ গুহ সরকার

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৮ ০৩:১৮
Share:

গত শুক্রবার সেনসেক্স প্রায় ২৯০ পয়েন্ট উঠে পৌঁছেছে ৩৫,৫৩৬ অঙ্কে। সর্বকালীন উচ্চতা থেকে মাত্র হাজার খানেক পয়েন্ট দূরে। নিফ্‌টিও প্রায় ৯০ পয়েন্ট বেড়ে ছাড়িয়েছে ১০,৮০০ অঙ্কের মাত্রা। তবে ‘বুল’-রা ফের নতুন শক্তি নিয়ে বাজারে ফিরেছে, এখনই বলা যাবে না। কারণ অনিশ্চয়তা পুরো কাটেনি। যে তালিকায় অন্যতম দেশের ব্যাঙ্কগুলির অনুৎপাদক সম্পদ বৃদ্ধি ও সেই খাতে সংস্থান বাড়াতে গিয়ে লোকসানের ধাক্কা বা লাভে হোঁচট। লগ্নিকারীদের রক্তচাপ বাড়িয়েছে কর্নাটক বিধানসভার ভোটের প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় বিজেপি এবং কংগ্রেসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিতও। চলতি সপ্তাহেই ভোটের ফল বেরোবে। তাই লগ্নিকারীদের নজর মূলত সেই দিকেই।

Advertisement

মুম্বই শেয়ার বাজারে চোখ রাখলে দেখা যাবে, সূচক এতটা ওঠা সত্ত্বেও নথিবদ্ধ সব সংস্থার শেয়ারের মোট মূল্য বাড়েনি (মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন) তো বটেই, বরং কমেছে। সপ্তাহ শেষে তা দাঁড়িয়েছে ১৫০ লক্ষ কোটি টাকার একটু উপরে, যা সর্বকালীন উচ্চতা থেকে অনেক দূরে। এই পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দেয়, কিছু বড় সংস্থার শেয়ারে তেজি ভাব দেখা গেলেও, বহু মাঝারি ও ছোটদের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। বাজার সার্বিক ভাবে তেজি না হওয়ায়, এতটা উচ্চতাতেও শেয়ার ভিত্তিক (ইকুইটি) ফান্ডগুলির ন্যাভ তেমন বাড়েনি। খুব ভাল জায়গায় নেই বন্ড ভিত্তিক ফান্ডগুলিও। বন্ডের দামে পতনের কারণে বাজারে সেগুলির ইল্ড বেশ খানিকটা বেড়ে ওঠায়। যে কারণে আগের ১২ মাসে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের (এনপিএস) অন্তর্গত প্রকল্পগুলিও খুব চোখে পড়ার মতো রিটার্নের ব্যবস্থা করতে পারেনি।

লগ্নিকারীরা অবশ্য দমে যাননি। ব্যাঙ্ক, ডাকঘরে সুদ কমে যাওয়ায় ফান্ডে লগ্নি চলছেই। এপ্রিলে সব ফান্ড মিলিয়ে নতুন লগ্নি ছিল ১,৩৭,৪২৮ কোটি টাকা, যা মার্চের তুলনায় ৯% এবং আগের বছরের এপ্রিলের তুলনায় ২০% বেশি। ফলে ফান্ডে লগ্নিকৃত মোট সম্পদ ২৩.২৫ লক্ষ কোটি টাকা। গোল্ড ইটিএফ বাদে লগ্নি বেড়েছে আর সব ধরনের ফান্ডেই। সব চেয়ে বেশি লিকুইড ফান্ডে।

Advertisement

তবে চলতি সপ্তাহ বাজারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারা কর্নাটকে সরকার গড়ে, তার দিকে নজর থাকবে সকলের। কারণ খানিকটা হলেও এই ফলাফলের প্রভাব পড়বে জাতীয় রাজনীতি এবং শেয়ার সূচকের উপর।

গত সপ্তাহে দেখা গিয়েছে মার্চে শিল্প বৃদ্ধি ছিল ৪.৪%। পাঁচ মাসে সবচেয়ে কম। তবে শেয়ার বাজার এই পরিসংখ্যানকে তেমন গ্রাহ্য করেনি। আগামী দু’এক বছর সম্পর্কে বড় সংস্থাগুলি ও কয়েকটি শিল্প যা ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাতে লগ্নিকারীরা আশাবাদী।

গত সপ্তাহে ফল বার হয়েছে কিছু ব্যাঙ্কের। প্রায় প্রত্যেকেরই বেশ খারাপ। এই তালিকায় বেসরকারি আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মধ্যে আছে ইউনিয়ন, ইউকো, এলাহাবাদ, কানাড়া ইত্যাদি ব্যাঙ্ক। দেখা গিয়েছে, সমস্যা এখনও কাটাতে পারেনি তারা। যে কারণে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ছাড়া ওই সব ব্যাঙ্কের শেয়ার দর ছিল বেশ ম্লান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন