ভুয়ো সংস্থার ‘সদর’ কলকাতা, কটাক্ষ জেটলির

আয়করদাতার সংখ্যা নিয়ে দাবি: নোট বাতিলের পরে গত ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষের ৯ নভেম্বর থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে আয়করদাতার সংখ্যা বেড়েছে ৩৩ লক্ষ। রাজ্যসভায় এ দাবি অর্থ প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গওয়ারের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৭ ০২:৪৮
Share:

কড়া: সংসদের অধিবেশনে জেটলি। মঙ্গলবার। পিটিআই

কালো টাকা সাদা করতে ভুয়ো সংস্থা বা ‘শেল’ কোম্পানি তৈরির ‘সদর দফতর’ হয়ে উঠেছে কলকাতা। আজ লোকসভায় বাজেট অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ নিয়ে আলোচনার সময়ে এই কটাক্ষ করেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।

Advertisement

তিনি বলেন, কালো টাকা সাদা করার এ ধরনের চক্রের খোঁজে হানা চলছে। তাঁর অভিযোগ, নোট বাতিলের পরে কালো টাকা রাখার ব্যবস্থা করতে হাজার হাজার ‘শেল কোম্পানি’ তৈরি হয়েছিল, খাতায় কলমে অস্তিত্ব থাকলেও বাস্তবে যাদের ব্যবসা নেই। সাধারণ গরিব মানুষ, বাড়ির কর্মচারী বা গাড়ির চালককে ডিরেক্টর বানিয়ে সেগুলি খোলা হয়েছে। কলকাতাতেই এ রকম সংস্থার সংখ্যা সর্বোচ্চ বলে দাবি তাঁর।

অর্থ মন্ত্রক সূত্রেরও যুক্তি, ইডি-র অভিযানেই কলকাতায় সবচেয়ে বেশি ভুয়ো সংস্থার হদিশ মিলেছে। ইডি-র এক অভিযানে বড়বাজার, টালিগঞ্জ, হাওড়া, সল্টলেক ইত্যাদি এলাকায় ৩৭টি লগ্নি সংস্থায় তল্লাশি চালানো হয়। দেখা যায়, এক এক জন ডিরেক্টরের নামে ২০টি সংস্থা রয়েছে। তাঁর নামেই ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সেগুলির মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকার বাতিল নোট সচল করার ব্যবস্থা হয়েছে বলে ইডি অফিসারদের ধারণা। মূলত উত্তর-পূর্ব ভারত ও পূর্ব ভারতের বিভিন্ন ব্যবসায়ী, রাজনীতিকরা তাঁদের কালো টাকা সাদা করতে কলকাতার কিছু অসাধু চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কর বিশেষজ্ঞের উপর ভরসা করেছেন বলেই শহরে এ ধরনের ভুয়ো সংস্থার বাড়বাড়ন্ত বলে ইডি-র ধারণা। ১২ জুলাই পর্যন্ত গোটা দেশে ১ লক্ষ ৬২ হাজারের বেশি এ ধরনের সংস্থার স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে বলেও দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

Advertisement

আয়করদাতার সংখ্যা নিয়ে দাবি: নোট বাতিলের পরে গত ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষের ৯ নভেম্বর থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে আয়করদাতার সংখ্যা বেড়েছে ৩৩ লক্ষ। রাজ্যসভায় এ দাবি অর্থ প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গওয়ারের। আয়কর রিটার্ন দাখিলের তথ্য দিয়ে তিনি জানান, ওই সময়ে ১.৯৬ কোটি রিটার্ন জমা পড়েছে। আগের বছর অর্থাৎ ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষের একই সময়ে জমা পড়েছিল ১.৬৩ কোটি রিটার্ন। ২০১৪-’১৫ সালের একই সময়ে ছিল ১.২৩ কোটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন