—প্রতীকী ছবি।
এ বার কি সস্তা হতে চলেছে আটলান্টিকের পারের স্কচ-হুইস্কি? কম দামে পাওয়া যাবে বিলিতি মদ? ব্রিটেনের সঙ্গে ‘মুক্তি বাণিজ্য চুক্তি’ (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট) হওয়া ইস্তক এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন কেন্দ্রের এক পদস্থ কর্তা। সেখানে পানাসক্তদের জন্য কোনও সুখবর শোনাতে পারেননি তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রের ওই পদস্থ কর্তাটি জানিয়েছেন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে ব্রিটিশ অ্যালকোহল যুক্ত পানীয়ের ক্ষেত্রে ন্যূনতম আমদানি মূল্য বা মিনিমান ইমপোর্ট প্রাইসকে (এমআইপি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে ইংল্যান্ড থেকে আসা স্কচ-হুইস্কির দাম এখনই কমছে না। দেশীয় মদ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি যাতে প্রতিযোগিতার মুখে না পড়ে, সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে চুক্তি অনুযায়ী, ১০ বছরের মাথায় ব্রিটেন থেকে আমদানি করা হুইস্কি এবং জিনের উপর শুল্কের পরিমাণ ১৫০ থেকে কমিয়ে ৭৫ শতাংশে নামিয়ে আনবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। পরবর্তী সময়ে সেটি আরও কমে নেমে আসবে ৪০ শতাংশে। তবে এর জন্য দেশীয় মদ শিল্পের লোকসান হবে না বলেই মনে করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
কেন্দ্রের ওই পদস্থ আধিকারিকের দাবি, বিদেশ থেকে আমদানি করা মদের উপর শুল্ক এমনিতেই ধীরে ধীরে হ্রাস করা হচ্ছে। এর জন্য একটি বাস্তবসম্মত পদ্ধতি অবলম্বন করছে সরকার। তা ছাড়া আগামী ১০ বছর ধরে এই প্রক্রিয়া চলবে। ফলে দেশীয় অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় নির্মাতাদের এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে খুব একটা সমস্যা হবে না।
বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, এই চুক্তির ফলে ব্রিটেনের বাজারে মদ বিক্রির সুযোগ পাবে ভারত। কারণ, সেখানে এ দেশের স্কচ ও হুইস্কির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। স্কচ, হুইস্কি অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই দু’ধরনের মদ রফতানির ক্ষেত্রে গত বছর শীর্ষস্থানে ছিল ভারত। এ ব্যাপারে ফের একবার ফ্রান্সকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন এখানকার মদ প্রস্তুতকারীরা।
গত বছর ১৯ কোটি ২০ লক্ষ বোতল স্কচ ও হুইস্কি বিদেশের বাজারে বিক্রি করেছে ভারত। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৭০ লক্ষ। অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে দাঁড়িয়ে আছে ভারত। অন্য দিকে স্পিরিট উৎপাদেন এ দেশের স্থান দ্বিতীয়।