কৃষিক্ষেত্রে ঋণ মকুবের কারণে তাদের অনুৎপাদক সম্পদ বেড়েছে বলে বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিল এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। শুক্রবার সেই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাঙ্কটির হুঁশিয়ারি, এটা চলতে থাকলে কৃষিতে নতুন ঋণ দেওয়াই বন্ধ করে দিতে পারে ঋণদাতা সংস্থাগুলি।
ব্যাঙ্কটির অর্থনীতিবিদেরা এক রিপোর্টে বলেছেন, কৃষিক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির অনুৎপাদক সম্পদ আরও বাড়তে পারে। আর তার হাত ধরে নষ্ট হতে পারে ঋণ দেওয়া ও শোধের পুরো সংস্কৃতিটাই। এর কারণ একের পর এক ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত। সদ্য প্রকাশিত এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের আর্থিক ফলেও যার ছায়া পড়েছে। ঘাড়ের উপর আরও বেশি চেপে বসেছে অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা। এর যুক্তি হিসেবে তাঁদের দাবি, কিছু কৃষকের ঋণ মকুব করায়, যাঁদের শোধের সঙ্গতি আছে তাঁরাও ইচ্ছাকৃত ভাবে তা খেলাপের পথে হাঁটছেন। যাতে সেই সুবিধা পাওয়া যায়। ফলে সমস্যায় পড়ছে ব্যাঙ্কগুলি।
ওই অর্থনীতিবিদদের ইঙ্গিত, ঋণ মকুব করে কৃষকদের সুবিধা করে দিতে গিয়ে, আদপে এর জেরে তাঁদের ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থাই ধাক্কা খেতে চলেছে। কারণ, অনুৎপাদক সম্পদ বাড়ার আশঙ্কায় অনেক ঋণদাতা আগামী দিনে কৃষিতে নতুন ধার মঞ্জুর করা থেকেই হাত গুটিয়ে নিতে পারে। আর এর জেরে শুকিয়ে যেতে পারে কৃষিঋণের জোগান।
প্রসঙ্গত, জুন ত্রৈমাসিকে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের মোট অনুৎপাদক সম্পদ ০.২০% বেড়েছে। যার ০.১৩% পর্যন্ত নতুন অনাদায়ী ঋণ শুধু কৃষিক্ষেত্রেরই। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, একই সমস্যায় পড়েছে অন্যান্য ঋণদাতা সংস্থাগুলিও।