প্রতীকী ছবি।
স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার দাবি করেছিলেন, অনাদায়ি ঋণের ফাঁস থেকে বেরিয়ে আসছেন তাঁরা। চলতি অর্থবর্ষ অবশ্যই মুনাফার মুখ দেখে শেষ করবে ব্যাঙ্কটি। মুনাফা হতে পারে তারও আগে। সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে তার লক্ষণও কিছুটা দেখা গিয়েছে। কিন্তু অন্যান্য ব্যাঙ্কের দুর্বল ফলাফলের জেরে সামগ্রিক ভাবে বড় অঙ্কের ক্ষতিই হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির। সূত্রের খবর, যথারীতি অনুৎপাদক সম্পদের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থানের জেরেই এই অবস্থা তাদের।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ২১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মোট ক্ষতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১৪,৭১৬.২ কোটি টাকা। আগের অর্থবর্ষের একই ত্রৈমাসিকে তা ছিল ৪,২৮৪.৪৫ কোটি। অর্থাৎ, ক্ষতির বহর বেড়ে হয়েছে সাড়ে তিন গুণ।
তবে আশার কথা, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় ক্ষতি প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা কমেছে। এপ্রিল থেকে জুনে তা ছিল ১৬,৬১৪.৯ কোটি টাকা। তবে ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, মাত্র দু’টি ব্যাঙ্কের কাঁধে ভর করেই এই ‘উন্নতি’। সেগুলি হল স্টেট ব্যাঙ্ক এবং ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স। ব্যাঙ্ক দু’টির মুনাফা যথাক্রমে ৯৪৪.৮৭ এবং ১০১.৭৪ কোটি টাকা।