বাজেটে তাদের ‘দুরবস্থা’ ঘোচানোর প্রস্তাব না দেখে নিজেদের ‘অনাথ’ বলে মন্তব্য করেছিল টেলি শিল্প। নতুন টেলিকম নীতির জন্য শুক্রবার ট্রাইয়ের সুপারিশে অনেকটাই আশ্বস্ত তারা। তাদের প্রায় সব দাবি মেনেই এই শিল্পে চাপানো কর ও লেভি কমানোর সুপারিশ করেছে ট্রাই। সওয়াল করেছে নিয়ম সরলিকরণের পক্ষেও। তা বাস্তবায়িত হলে ও লগ্নি বাড়লে, আখেরে আমজনতা উপকৃত হবে বলে শিল্পমহলের মত।
এ বছরই নতুন টেলিকম নীতি তৈরির কথা। তার আগে ট্রাইয়ের পরামর্শ চেয়েছিল টেলিকম দফতর। ট্রাইয়ের বক্তব্য, ডিজিটাল প্রযুক্তি ইট-কাঠের পরিকাঠামোর খামতি দূর করেছে। কম খরচে সকলের কাছে সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে। তাই এই শিল্পে লগ্নি টানতে তাদের সমস্যা দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। সেই লক্ষ্যে লাইসেন্স ফি, কর, লেভি, স্পেকট্রাম ব্যবহারের খরচ ইত্যাদি কমানোর পাশাপাশি ‘এক দেশ এক লাইসেন্স’ নীতির পক্ষে সওয়াল করেছে ট্রাই।
এ দিন সিওএআইয়ের ডিজি রাজন ম্যাথুজ বলেন, শিল্প ৯ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। কিন্তু তাদের ধার ৪.৫ লক্ষ কোটিরও বেশি। ডিজিটাল ভারতের জন্য কয়েক বছরে আরও ২-৩ লক্ষ কোটি লগ্নি জরুরি। ট্রাইয়ের সুপারিশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ে নীতি তৈরি হলে তা সম্ভব হবে।