ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে পাসপোর্ট। ব্রিটেনে চিঠি পাঠানো হয়েছে বিজয় মাল্যের প্রত্যর্পণের জন্য। কিন্তু তার পরেও অনড় কিংগ্ফিশার কর্তা। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তাঁকে জোর করে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। এখনই ব্রিটেন ছাড়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।
শুক্রবার লন্ডনে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাল্যের দাবি, ভারতে ৯,০০০ কোটি বকেয়া ঋণের অঙ্ক অবাস্তব। তবে ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে যুক্তিসম্মত রফা চান তিনি। সেটাই এখন তাঁর জীবনের লক্ষ্য। তিনি বলেন, এ জন্য কতটা টাকা দেওয়া সম্ভব, তা দেখতে হবে। পাশাপাশি, এ ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক আগে কী রকম ছাড় দিয়েছে, খেয়াল রাখতে হবে তা-ও। কিন্তু একই সঙ্গে মাল্যের দাবি, পাসপোর্ট বাতিল বা গ্রেফতার করে ব্যাঙ্কগুলি এক পয়সাও পাবে না।
১৭টি ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়ামের কাছে ৯,০০০ কোটি টাকা ঋণ বাকি রেখে ২ মার্চ লন্ডনে পাড়ি দিয়েছিলেন মাল্য। গত সপ্তাহেই কিংগ্ফিশার কর্তার পাসপোর্ট বাতিল করেছে কেন্দ্র। জারি হয়েছে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা। তাঁকে ভারতে ফেরাতে ব্রিটিশ হাই কমিশনে চিঠিও পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক। তার পরেই এ দিনের সাক্ষাৎকারে মাল্য বলেন, তাঁকে ভারত ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। অবশ্যই তিনি দেশে ফিরতে চান। কিন্তু এখন সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে সুর বেশ চড়া। তাই আপাতত ব্রিটেনে নিরাপদে থাকাই তাঁর পছন্দ।
ভারতে অবশ্য এ দিন সংস্থা ছাড়ার জন্য মাল্যের সঙ্গে হওয়া চুক্তির সব তথ্য ১২ মে-র মধ্যে জমা দিতে ডিয়াজিও-কে নির্দেশ দিয়েছে ঋণ আদায় সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনাল।