ইরানে জঙ্গি হানায় কপালে ভাঁজ দেশে চা শিল্পের

ইন্ডিয়ান টি এক্সপোর্টার্স অ্যাসো-সিয়েশনের চেয়ারম্যান ভরত আর্যের কথায়, ‘‘মরসুম শুরু না-হওয়ায় এখন ব্যবসায় প্রভাব পড়েনি। কিন্তু আগামী কয়েক দিনে কী হয়, তা দেখতে হবে। কারণ, ইরান রফতানির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ তাঁদের আশা, ভারত-ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভাল হওয়ায় নতুন করে সমস্যা না-হলে ব্যবসা মার খাবে না।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭ ০২:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাশিয়ার পরে ভারতীয় অর্থোডক্স চায়ের সব চেয়ে বড় রফতানি-বাজার ইরান। ওই চায়ের দামও সেখানে বেশ ভাল। বুধবার সেই ইরানে জোড়া জঙ্গি হানা উদ্বেগ ছড়িয়েছে এ দেশের চা রফতানিকারীদের একাংশের মধ্যে।

Advertisement

চা শিল্পমহল সূত্রে খবর, এখন রমজান মাস চলায় ইরানে চায়ের চাহিদা কম। সাধারণত রফতানির মরসুম শুরু হয় ইদের পরে, জুনের শেষ থেকে। কিন্তু তার কয়েক সপ্তাহ আগে ওই দেশে জো়ড়া জঙ্গি হানা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চা রফতানিকারীদের। দুশ্চিন্তা বাড়ছে মরসুম শুরুর মুখে সেখানকার আইন-শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে।

ইন্ডিয়ান টি এক্সপোর্টার্স অ্যাসো-সিয়েশনের চেয়ারম্যান ভরত আর্যের কথায়, ‘‘মরসুম শুরু না-হওয়ায় এখন ব্যবসায় প্রভাব পড়েনি। কিন্তু আগামী কয়েক দিনে কী হয়, তা দেখতে হবে। কারণ, ইরান রফতানির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ তাঁদের আশা, ভারত-ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভাল হওয়ায় নতুন করে সমস্যা না-হলে ব্যবসা মার খাবে না।

Advertisement

কেন ইরান গুরুত্বপূর্ণ, তা অবশ্য পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট। টি বোর্ডের হিসেব বলছে, ২০১৬ সালে ভারত থেকে ২২.২৪ কোটি কেজি চা রফতানি হয়েছিল। এর মধ্যে রাশিয়ায় গিয়েছিল ৪.৪৬ কোটি। তার পরেই ইরানে ২.৩৯ কোটি। মোট রফতানির প্রায় ১০%। তা ছাড়া, রাশিয়ার মতো ইরানেও অর্থোডক্স চায়ের দাম ভাল।

তবে ম্যাকলিওড রাসেলের ডিরেক্টর আজম মোনেম ও রোসেল টি-র এমডি সি এস বেদীর আশা, রফতানি মরসুম শুরুতে দেরি আছে। তার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন