আগামী কাল সোমবার রাজ্যে ব্যাঙ্ক খোলা থাকছে। ফতেহা দোহাজ দাহম উপলক্ষে ওই দিন রাজ্য ছুটি দিলেও তা নেগোশিয়েব্ল ইনস্ট্রুমেন্টস (এনআই) অ্যাক্টে ঘোষিত না-হওয়ায় ব্যাঙ্ক তার আওতায় পড়ছে না। তবে দিল্লি, ঝাড়খণ্ডের মতো কিছু রাজ্যে ওই আইনেই ছুটি। সেখানে বন্ধ থাকছে ব্যাঙ্ক।
১০ ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় শনিবার হওয়ায় বন্ধ ছিল ব্যাঙ্ক। আজ রবিবারও ছুটি। সোমবার ছুটি থাকলে টানা তিন দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকার যে-আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, রাজ্যের ক্ষেত্রে তা থাকল না।
কেন্দ্র বছরে কিছু ছুটি নির্দিষ্ট করে দেয়। যেমন, ২৬ জানুয়ারি, ১৫ অগস্ট ইত্যাদি। এনআই অ্যাক্টে ঘোষিত এই সব ছুটিতে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকে। এর বাইরে রাজ্য ও কেন্দ্র অতিরিক্ত ছুটিও দিতে পারে। তার মধ্যেও যেগুলি এনআই অ্যাক্টে হয়, সেগুলিই ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
কেন শুধু এনআই অ্যাক্টের ছুটিই ব্যাঙ্ককর্মীরা পেয়ে থাকেন? ব্যাঙ্কে লেনদেন হয় চেক, ড্রাফ্ট, বিল অব এক্সচেঞ্জ (হুন্ডি) ইত্যাদির মাধ্যমে। ওই নথিগুলিকে বলে নেগোশিয়েব্ল ইনস্ট্রুমেন্ট। ওই সব নথির মেয়াদ যে-দিন শেষ হবে, সে দিন যদি এনআই অ্যাক্টে ছুটি থাকে, তা হলে তার মেয়াদ এক দিন বাড়বে। যেমন, চেকের মেয়াদের শেষ দিন যদি ২০ তারিখ হয়, এবং ওই দিন যদি এনআই অ্যাক্টে ছুটি থাকে, তা হলে চেকটি ২১ তারিখ পর্যন্ত ভাঙানো যাবে। এনআই অ্যাক্টে ছুটি না-থাকলে, মেয়াদ এক দিনও বাড়বে না। ফলে অসুবিধা হবে লেনদেনে। তাই ছুটির এই নিয়ম।
ব্যাঙ্ককর্মীদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজেন নাগর বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের অফিসার-কর্মীরা সব ছুটিই পান এনআই অ্যাক্টে।’’ একই কথা জানান ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্সের আহ্বায়ক গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির আহ্বায়ক মানস ধর বলেন, ‘‘ফতেহা দোহাজ দাহম উপলক্ষে ব্যাঙ্কে ছুটি নেই। তবে রাজ্য সরকার যে-ছুটি ঘোষণা করেছে, তা এনআই অ্যাক্টে হলে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকত।’’