উৎসবে জিএসটি চাপাচ্ছে না অনেক সংস্থাই

২৮% জিএসটি বসেছে বৈদ্যুতিন ভোগ্যপণ্যের উপরে। কিন্তু সেই তুলনায় দাম বাড়ছে না। কারণ গোটা বছরের বিকিকিনির ঘাটতি পূরণ করতে উৎসবের মরসুমের দিকেই তাকিয়ে থাকে এই শিল্প। বছরের প্রায় ৩৫-৪০% ব্যবসা এ সময়েই হয় বলে দাবি সংস্থাগুলির।

Advertisement

গার্গী গুহঠাকুরতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৭ ০৯:১০
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

নোট নাকচ ও জিএসটি-র জোড়া ধাক্কায় দাম আগের থেকে বাড়ার আশঙ্কা ছিলই। তা সত্ত্বেও উৎসবের বাজার ধরে রাখতে এখনই সেই পথে হাঁটছে না বৈদ্যুতিন ভোগ্যপণ্য ও পোশাক তৈরির বিভিন্ন সংস্থা। ক্রেতাদের বিরাগভাজন হতে নারাজ তারা। প্রয়োজনে লাভের লোভ ছেঁটেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট শিল্পমহলের।

Advertisement

২৮% জিএসটি বসেছে বৈদ্যুতিন ভোগ্যপণ্যের উপরে। কিন্তু সেই তুলনায় দাম বাড়ছে না। কারণ গোটা বছরের বিকিকিনির ঘাটতি পূরণ করতে উৎসবের মরসুমের দিকেই তাকিয়ে থাকে এই শিল্প। বছরের প্রায় ৩৫-৪০% ব্যবসা এ সময়েই হয় বলে দাবি সংস্থাগুলির। সোনি ইন্ডিয়ার অন্যতম কর্তা সতীশ পদ্মনাভনের দাবি, জিএসটির প্রভাব নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে। এখনই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। একই সুরে বশ হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের কর্তা গুঞ্জন শ্রীবাস্তব জানান, উৎসবে দাম বাড়বে বলে মনে হয় না। বাড়লেও তা ১-২ শতাংশের বেশি হবে না বলে মত গোদরেজ অ্যাপ্লায়েন্সেসের কমল নন্দীর।

দেশে বছরে প্রায় ১৫% হারে বাড়তে থাকা বৈদ্যুতিন ভোগ্যপণ্যের বাজার ২০২০ সালে ৪০ হাজার কোটি ডলারে (প্রায় ২৫.৫ লক্ষ কোটি টাকা) পৌঁছনোর কথা। এর ৬৫% শহর কেন্দ্রিক। বাকি ৩৫% গ্রামাঞ্চলের দখলে। কিন্তু বৃদ্ধির হারে এগিয়ে থাকা এই ৩৫% বাজারের ভূমিকা অনেকটাই বলে দাবি কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েন্সেস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের। নোটের আকালে সব মিলিয়ে ৭০% বিক্রি কমেছিল। ফলে উৎসবের বাজারে আর ঝুঁকি নিতে চায় না প্রস্তুতকারকরা।

Advertisement

ঝুঁকি নিচ্ছে না জামাকাপড়ের বিভিন্ন সংস্থাও। এক হাজার টাকার কম দামি পোশাকে ৫% ও তার বেশি দামের ক্ষেত্রে ১২% জিএসটি চালু হয়েছে। এখনই এই বাড়তি বোঝা ক্রেতার উপরে চাপিয়ে দেওয়ার কথা অধিকাংশ ব্র্যান্ডই ভাবছে না বলে মনে করেন শপার্স স্টপের কর্তা গোবিন্দ শ্রীখণ্ড। তিনি বলেন, ‘‘নতুন কর কাঠামোয় দাম বাড়ানোর কথা। তা না-করে উৎপাদন খরচে রাশ টানা হয়েছে। লাভের অঙ্ক কম রেখে বিক্রি বাড়ানোর কৌশলও নেওয়া হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন