আগামী তিন বছরের মধ্যে কৃষি এবং বিভিন্ন ধরনের খামার (ফার্ম)-এর কাজে যুক্ত চাষি এবং কর্মীদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে নাবার্ড। এর জন্য কৃষি এবং পরিকাঠামো-সহ বিভিন্ন গ্রামীণ ক্ষেত্রে ঋণদানের পরিমাণ ৩০ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে তারা। মঙ্গলবার রাজ্যে তাদের ঋণদান পরিকল্পনা নিয়ে এক আলোচনা সভায় এই কথা জানান নাবার্ডের চিফ রিজিওনাল ম্যানেজার টিএস রাজি গিয়ানি।
বর্তমানে গ্রামে কৃষি ক্ষেত্রে প্রতি পরিবারের আয় মাসে গড়ে ৩৯৮০ টাকা। ওই আয় বাড়িয়ে মাসে ৫৮৮৮ করাই নাবার্ডের লক্ষ্য।
এ দিকে আগামী আর্থিক বছর, অর্থাৎ ২০১৬-১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ ক্ষেত্রে নাবার্ড ৮২ হাজার ৭৮৪ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা ঋণদানের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। যা ২০১৫-’১৬ সালের তুলনায় ১৪.০৮ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি রাজ্যে ব্যাঙ্কগুলিকে সংগৃহীত মোট আমানতের ৭০ শতাংশ ঋণ (সিডি রেশিও) হিসাবে দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হতে আর্জি জানিয়েছে নাবার্ড।
মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের শীর্ষ আমলা, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য ব্যাঙ্কের কর্তাদের সামনে ঋণ দান সহ গ্রামীণ ক্ষেত্রের উন্নতির জন্য তাদের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে নাবার্ড।
এই দিন গিয়ানি জানান, গ্রামে কৃষি সহ অন্যান্য পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আগামী আর্থিক বছরে ১ হাজার ৫২৫ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে নাবার্ড।
এ দিকে রাজ্যে যত কিষান ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হযেছে, তার প্রায় ৪০ শতাংশ কার্ডেই কোনও লেনদেন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার জেনারেল ম্যানেজির এবং রাজ্য ভিত্তিক ব্যাঙ্কার্স কমটির অন্যতম কর্তা মানস ধর। ওই সব কার্ডে যাতে লেনদেন শুরু হয়, তার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর মতে, এটা করা হলে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ঋণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাবে।