১৯ নভেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদের বৈঠক
বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতের ফারাক নিয়ে ইতিমধ্যেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। যথেষ্ট তেতো হয়েছে দু’পক্ষের সম্পর্কও। কিন্তু সূত্রের খবর, বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ঐকমত্যে পৌঁছতে এ বার নাকি সম্পর্কের অভিমুখ বদলাতে চেষ্টা করছে তারা। বিশেষত নতুন ঋণ বিলি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিধিনিষেধ (প্রম্পট করেকটিভ অ্যাকশন বা পিসিএ) শিথিল ও ছোট ও মাঝারি শিল্পে ঋণ বণ্টনের নিয়ম সহজ করার ক্ষেত্রে। তা-ও আবার ১৯ নভেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদের বৈঠকের আগেই।
এর আগে অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ সূত্র বলেছিল, বৈঠকে নর্থ ব্লকের কর্তারা ফের বিতর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে সরব হবেন। শীর্ষ ব্যাঙ্ক যাতে ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উপর জারি পিসিএ ব্যবস্থা শিথিল করে, ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির (এনবিএফসি) জন্য নগদের বন্দোবস্ত করে এবং নিজের তহবিলে থাকা বাড়তি অর্থ কেন্দ্রকে দেয়, তার জন্য চাপ তৈরি করা হবে গভর্নর উর্জিত পটেলের উপর।
কিন্তু বিশেষ সূত্রের দাবি, সমস্যাগুলি থেকে দ্রুত বেরোতে এখন এমন পথ খুঁজতে চাইছে তারা, যা নিয়ে সহমত হবে দু’পক্ষই। ওই সূত্রের দাবি, এই দফায় পর্ষদের বৈঠকে যদি না-ও সম্ভব হয়, কয়েক সপ্তাহেই পিসিএর শর্ত শিথিল নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছবে কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যেটা হলে এই অর্থবর্ষ শেষেই কিছু ব্যাঙ্ক তার আওতা থেকে বেরোতে পারবে।
বিরোধ যা নিয়ে
• কেন্দ্রের ধারণা, ঋণখেলাপ রুখতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উপরে একটু বেশিই কড়া রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
• অনুৎপাদক সম্পদে রাশ টানতে ধার দেওয়া নিয়ে ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উপর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিধিনিষেধ
• ছোট শিল্প এবং ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (এনবিএফসি) নগদের জোগান
• ধুঁকতে থাকা বিদ্যুৎ সংস্থাগুলিকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া
• অনলাইন লেনদেনে নজরদারির জন্য আলাদা নিয়ন্ত্রক
• রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে কেন্দ্রের ৩.৬ লক্ষ কোটি দাবির খবর
• শীর্ষ ব্যাঙ্কে যে টাকা সঞ্চিত থাকে, তার মধ্যে কতটা সরকারি কোষাগারে পাঠানো উচিত, সেই নিয়মে বদল
শুধু তাই নয়, ঋণ দান বাড়াতে রেটিংয়ের মাপকাঠি নিয়ে কড়াকড়ি-সহ ছোট-মাঝারি সংস্থাকে ধার দেওয়ার বিধি সহজের বিষয়টিতে সম্মত হতে পারে আরবিআই, জানাচ্ছে সূত্রটি। আশা করা হচ্ছে, নগদের সমস্যা কিছুটা কাটাতে ছোট শিল্প ও এবিএফসিগুলিকে বিশেষ আর্থিক সুবিধা দিতেও রাজি হবে তারা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ভিত আরও দুর্বল হওয়ার যুক্তি দেখিয়ে কেন্দ্রের যে দাবি এর আগে পত্রপাঠ খারিজ করেছিল শীর্ষ ব্যাঙ্ক।