ভোটের মুখে এনপিএসে হাত উপুড় কেন্দ্রের

সোমবার অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, এনপিএসে কেন্দ্রের প্রদত্ত ভাগ কর্মীদের মূল বেতনের ১০% থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪%।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৫৮
Share:

এনপিএসে কেন্দ্রের প্রদত্ত ভাগ কর্মীদের মূল বেতনের ১০% থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪%।

লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের খুশি করতে জাতীয় পেনশন ব্যবস্থায় (এনপিএস) এক গুচ্ছ বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

সোমবার অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, এনপিএসে কেন্দ্রের প্রদত্ত ভাগ কর্মীদের মূল বেতনের ১০% থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪%। কর্মীদের ভাগ ১০ শতাংশই থাকছে। তবে প্রকল্পটির সঞ্চয় থেকে তোলা টাকা পুরোপুরি করমুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ইপিএফ, পিপিএফের মতো এনপিএসেও তিনটি স্তরে কর ছাড়ের সুবিধা মিলবে। অর্থাৎ, টাকা জমার সময়ে, সঞ্চয় ও তার উপর আয়ে এবং তহবিল তোলার সময়ে। যার হাত ধরে উপকৃত হবেন ২০০৪ সালের পর থেকে চাকরি পাওয়া প্রায় ১৮ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী।

সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ২০০৪ সালে চালু হলেও, সম্প্রতি এই পেনশন প্রকল্পটি ঘিরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী মহলের অন্দরে। ১২ ডিসেম্বর এ নিয়ে বিক্ষোভ দিবসের ডাকও দিয়েছিল তাঁদের সংগঠনগুলির ফেডারেশন। মূল দাবি ছিল, পুরনো পেনশন প্রকল্পই ফিরিয়ে আনা হোক। যেখানে কর্মীদের কোনও অবদান বা ভাগ থাকত না। অথচ পাওয়া যেত নির্ধারিত অঙ্কের পেনশন। এখন শেয়ার বাজারে টাকা খাটানোর ফলে পেনশনের অঙ্ক নিয়ে কোনও নিশ্চয়তাও থাকছে না।

Advertisement

কী সিদ্ধান্ত, বদল কোথায়

• এনপিএসে কেন্দ্রের প্রদত্ত ভাগ বেড়ে কর্মীদের মূল বেতনের ১৪%। আগে ছিল ১০%।
• ২০১৯-২০ সালে কেন্দ্রকে গুনতে হবে বাড়তি ২,৪৮০ কোটি টাকা।
• অবসরের পরে তহবিলের ৬০% অর্থ তোলা যায়। ৪০% ছিল করমুক্ত। এখন পুরো ৬০ শতাংশই করমুক্ত।
• এনপিএসের টিয়ার-টু প্রকল্পে জমায় দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৮০সি ধারায় করছাড়ের
সুবিধা মিলবে। লক-ইনের সময়সীমা ৩ বছর।
• লগ্নির ক্ষেত্রে চারটি বিকল্প। শেয়ার বাজারে ১৫%, ২৫%, ৫০%। অথবা সরকারি ঋণপত্রে পুরো ১০০%।
• এনপিএসে লগ্নি দেখাশোনার জন্য আটটি সংস্থার মধ্যে থেকে বাছতে পারবেন গ্রাহক।

কেন্দ্রের আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গ জানিয়েছেন, লগ্নির ক্ষেত্রে চারটি বিকল্পের সুবিধা পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। একটি সাধারণ ভাবে চালু প্রকল্প, যেখানে সরকারি ঋণপত্র, কর্পোরেট বন্ডে অধিকাংশ অর্থ লগ্নি হয়। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা হয় ১৫%। কর্মীরা চাইলে ২৫% এবং ৫০% পর্যন্ত টাকা শেয়ারে খাটানোর বিকল্প বেছে নিতে পারেন। আবার কেউ যদি চান, তা হলে ১০০% অর্থই জমা রাখতে পারেন সরকারি ঋণপত্রে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন