গ্রাহকদের রুপে কার্ড চালু ২০০টি জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কেও

নগদ লেনদেনে রাশ। কালো টাকার লেনদেন আটকানো। আর ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সুবিধা সকলের দরজায় পৌঁছে দেওয়া। এই তিন লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ডেবিট কার্ড ব্যবহারের প্রসারে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৬ ০৩:৫১
Share:

নগদ লেনদেনে রাশ। কালো টাকার লেনদেন আটকানো। আর ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সুবিধা সকলের দরজায় পৌঁছে দেওয়া। এই তিন লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ডেবিট কার্ড ব্যবহারের প্রসারে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। সেই উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবেই এ বার দেশের ২০০টি ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক বা ডিসিসিবি-র (জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক) গ্রাহকদের জন্য ‘রুপে’ ডেবিট কার্ড চালু করছে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এনপিসিআই)। ভিসা বা মাস্টার কার্ডের মতো রুপে-ও লেনদেনের মধ্যস্থতাকারী মাধ্যম।

Advertisement

এনপিসিআই সূত্রে খবর, ৬৭৫টি জেলার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকায় আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক, শহুরে সমবায় ব্যাঙ্ক এবং শিডিউলড কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যেই রুপে কার্ড দিচ্ছে তারা। মঙ্গলবার ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন ডে উপলক্ষে ২০০টি ডিসিসিবি-তেও পুরোদস্তুর এই পরিষেবা চালুর কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে জানাল এনপিসিআই।

সকলের দরজায় আর্থিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া ও নগদ লেনদেন কমানোই যে মূল লক্ষ্য, তা স্পষ্ট এনপিসিআইয়ের এমডি-সিইও এ পি হোতার কথায়। তিনি বলেন, ‘‘ডিসিসিবিগুলির অংশগ্রহণে সবার কাছে আর্থিক পরিষেবা পৌঁছনোর প্রক্রিয়া আরও গতি পাবে। কমবে শহর ও গ্রামের ফারাক।’’ তাঁর দাবি, আরবিআইয়ের কম নগদ ব্যবহারের কর্মসূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোনোই এই রুপে কার্ড পরিষেবার উদ্দেশ্য।

Advertisement

সংস্থার দাবি, স্থানীয় স্তরে আর্থিক পরিষেবার ক্ষেত্রে জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কগুলির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। বিশেষত, কৃষি ও স্থানীয় সমবায় সমিতিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে তারাই মূল চালিকাশক্তি। যে কারণে এই সব ব্যাঙ্কের গ্রাহকেরা রুপে-ডেবিট কার্ড ব্যবহার করলে, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ছড়াবে। স্বচ্ছ হবে লেনদেন ব্যবস্থাও। এটিএম ছাড়াও, বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে এনপিসিআইয়ের গাঁটছড়া থাকায়, এই কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটাও করা যাবে। সংস্থা সূত্রের খবর, এখন দেশে প্রায় ২৮ কোটি ব্যাঙ্ক গ্রাহক রুপে-ডেবিট কার্ড ব্যবহার করেন। যার মাধ্যমে ২.২ লক্ষেরও বেশি এটিএম ও ১.২ লক্ষ ‘পয়েন্ট অব সেল টার্মিনাল’ ব্যবহারের সুবিধা পান তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement