নতুন আইনেই বোনাস দিতে বিজ্ঞপ্তি রাজ্যে

অবশেষে নতুন আইন মেনেই বেসরকারি কর্মীদের বোনাস দিতে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য। এর দৌলতে এখন বোনাস পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে বেতনের ঊর্ধ্বসীমা ২১ হাজার টাকা করার বিষয়টি বহাল হল। পুরনো আইনে তা ছিল ১০ হাজার।

Advertisement

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৫৪
Share:

অবশেষে নতুন আইন মেনেই বেসরকারি কর্মীদের বোনাস দিতে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য।

Advertisement

এর দৌলতে এখন বোনাস পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে বেতনের ঊর্ধ্বসীমা ২১ হাজার টাকা করার বিষয়টি বহাল হল। পুরনো আইনে তা ছিল ১০ হাজার। বোনাসের অঙ্ক হিসেবের জন্যও নতুন আইনে বেতনের সর্বোচ্চ সীমা ধরা হবে ৭ হাজার টাকা। আগে যা ছিল সাড়ে তিন হাজার। শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, এতে উপকৃত হবেন লক্ষ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারী। শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকও জানিয়েছেন, আগে ভুলবশত জারি করা বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে সংশোধিত সার্কুলার জারি করেছে রাজ্য সরকার।

নতুন বোনাস সংশোধনী আইন (২০১৫) চালু হয়েছে গত বছর। কিন্তু গোড়ায় মান্ধাতার (১৯৬৫) আমলের আইন মেনে বেসরকারি কর্মীদের বোনাস দেওয়ার বিষয়টি ফয়সালা করতেই এ বছর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য। স্বাভাবিক ভাবেই তা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল শ্রমিক সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ ছিল, এর জেরে কার্যত প্রাপ্য বোনাসের অর্ধেক টাকা পাবেন বেসরকারি কর্মীরা। বঞ্চিত হবেন নতুন আইনের সুবিধা থেকে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর আনন্দবাজার পত্রিকায় এ নিয়ে খবর বেরোনোর পরে বিষয়টি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়। আর তারপরই বুধবার রাজ্যের এই সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।

Advertisement

ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি সরকারের সামনে তুলে ধরতে লাগাতার দরবার করেছি। কর্মী স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার আর্জি জানিয়ে দেখা করে চিঠি দিয়েছি শ্রমমন্ত্রীকে।’’ এখন সমস্যার সুরাহা হওয়ায় বহু শ্রমিক-কর্মী উপকৃত হবেন বলে তাঁর দাবি।

উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের বোনাস আইন সংশোধন করে নতুন পেমেন্ট অব বোনাস (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৫ এনেছে কেন্দ্র। যে-সমস্ত বেসরকারি কর্মীর বেতন মাসে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত, পুরনো আইনে শুধু তাঁরাই বোনাসের আওতায় আসতেন। আর বোনাস হিসেব করার জন্য সর্বোচ্চ বেতন ধরা হত ৩,৫০০ টাকা। সংশোধিত নতুন আইনে এই দুই সীমাই প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২১,০০০ ও ৭,০০০ টাকা।

সংশোধিত আইন ২০১৫ সালে পাশ হলেও, তা কার্যকর হওয়ার কথা ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে। বেসরকারি ক্ষেত্রের মালিকরা নতুন আইনের সরাসরি বিরোধিতা করেননি ঠিকই। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে তা কার্যকর করার বিরুদ্ধে আপত্তি তুলে আদালতে গিয়েছেন তাঁরা। এই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের আগের বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হতে শুরু করে শ্রমিক সংগঠনগুলি। আর, তাদের দাবি এই সমস্ত কিছুর ফসল হিসেবেই এ দিনের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন