জুলাইতেই জিএসটি চালু করতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। ফলে ব্যবসার জায়গা হিসেবে আচমকাই কদর বেড়ে গিয়েছে ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির।
জিএসটি-র মতো নতুন কর ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পা ফেলতে ব্যবসায় হিসেব-নিকেশের গোটা পদ্ধতিটাই ঢেলে সাজতে হচ্ছে দেশের সমস্ত শিল্প-সংস্থাকে। যে প্রস্তুতি পর্ব ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছে বেশির ভাগ বড় সংস্থা। কিন্তু এখনও পিছিয়ে ছোট-মাঝারিরা। তাদের দ্রুত অ্যাকাউন্টিংয়ের খোলনলচে বদলানোর বাধ্যবাধকতাতেই মুনাফার খোঁজ পাচ্ছে বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন নতুন উদ্যোগ (স্টার্ট-আপ)।
নতুন কর কাঠামোর জন্য চাই নতুন অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার। সঙ্গে উপযুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামো। ছোট সংস্থার পক্ষে চট করে সেই ব্যবস্থা করা মুশকিল। যেমন, জয়পুরের কেডিকে সফটওয়্যারের দাবি, তাদের এ সংক্রান্ত হেল্পলাইন চালুর সঙ্গে সঙ্গেই ১০ হাজার ফোন এসেছে। অধিকাংশই সেই সব সংস্থার, যাদের ব্যবসা বছরে এক কোটি টাকার কম। আর সেই কারণেই তাদের কাছে পৌঁছনোর দৌড়ে সামিল স্যাপ, ওরাক্ল, ইনফোসিসের মতো বড় সংস্থা থেকে শুরু করে ইন্ডিয়া ফাইলিংস-এর মতো স্টার্ট আপ।
জিএসটি-র উপযুক্ত কাঠামো তৈরি করতে চাই তথ্যপ্রযুক্তির জোরদার ব্যবহার। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলির জন্য পরিকাঠামো তৈরি করে দিচ্ছে স্যাপ, ওরাক্ল। ব্যবসার কোথায় জিএসটি-র প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে, তা চিহ্নিত করছে ইনফোসিস। সমস্যার সমাধান সূত্রও তৈরি করে ফেলেছে তারা।
স্যাপ ইন্ডিয়ার বিপণন প্রধান কৃষ্ণন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, পাঁচ কোটির বেশি ছোট-মাঝারি সংস্থা পণ্য-পরিষেবা করের জমানায় প্রযুক্তির হাত ধরবে। সে কথা মাথায় রেখেই দেশের ২১টি শহরে ‘রোড-শো’ করছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, নতুন কর কাঠামোয় নিজেদের কারবার টিকিয়ে রাখতে ছোট-মাঝারিদের তথ্যপ্রযুক্তির হাত ধরতেই হবে। আর সেটা না-পারলে হারিয়ে যেতে হবে প্রতিযোগিতার বাজার থেকে।
চাহিদার হিসেব কষেই তাই বাজারে নতুন অনলাইন অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার নিয়ে এসেছে ইন্ডিয়া ফাইলিংসের মতো স্টার্ট-আপ সংস্থা। ইন্ডিয়া ফাইলিংসের প্রধান লায়নেল চার্লসের দাবি, জিএসটি সংক্রান্ত এই বাজার ধরতে মোটা বিনিয়োগ করছে তাঁর সংস্থা। ক্রমশ বাড়তে থাকা চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে পুঁজির পাশাপাশি বাড়াচ্ছে কর্মী সংখ্যাও।