নতুন পর্যটন নীতি হয়তো এ মাসেই

রাজ্যের কিছু সরকারি লজ পরিচালনার ভার বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া, পর্যটন সংক্রান্ত সার্বিক একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরির মতো বিষয়গুলিও সেই নীতিতে থাকতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:১২
Share:

পরিকল্পনা: গজলডোবাকে পর্যটনে লগ্নির অন্যতম গন্তব্য করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। কাজ চলছে তার নীল নকশা তৈরিরও। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

রাজ্যের খসড়া পর্যটন নীতি তৈরি। কিন্তু আগে বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলন (বিজিবিএস) এবং সিআইআইয়ের পর্যটন শিল্প সম্মেলনে শিল্পমহলের চাহিদা বুঝতে চায় রাজ্য সরকার। তারপর সব কিছু ঠিকঠাক চললে এ মাসের শেষেই নতুন পর্যটন নীতি ঘোষণা করবে রাজ্য। রাজ্যের কিছু সরকারি লজ পরিচালনার ভার বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া, পর্যটন সংক্রান্ত সার্বিক একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরির মতো বিষয়গুলিও সেই নীতিতে থাকতে পারে।

Advertisement

বিশ্বের দরবারে রাজ্যের পর্যটনের সম্ভাবনাকে তুলে ধরতে রাজ্যের সহযোগিতায় ১৮-১৯ জানুয়ারি সিআইআইয়ের অষ্টম ‘ডেস্টিনেশন ইস্ট’ সম্মেলনে ৩০টি দেশের পর্যটন শিল্পের ১০২ জন প্রতিনিধি আসছেন। শুক্রবার এ বিষয়ে জানানোর ফাঁকে পর্যটন দফতরের প্রধান সচিব অত্রি ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দুটি শিল্প সম্মেলনই পর্যটন শিল্পমহলের সঙ্গে আলোচনা করার বড় সুযোগ। খসড়া নীতি তৈরি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, আগে তাঁদের ভাবনা জানতে। আগামী সপ্তাহটি তাই অনেক কিছু শেখার জন্য আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সব দেখে এ মাসের শেষে নতুন নীতি ঘোষণার চেষ্টা হবে।’’

বস্তুত, আজকের দুনিয়ার চাহিদার সঙ্গে পা মিলিয়ে রাজ্যের পর্যটনে পেশাদারিত্ব আনতে চায় রাজ্য। যেমন অত্রিবাবু জানান, সরকারি কর্মীদের স্বার্থ বজায় রেখেই কিছু সরকারি লজের পরিচালন ভার পেশাদার সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা এই কাজে দক্ষ, তাঁরাই পরিচালনার ভার নিন।’’

Advertisement

তেমনই পর্যটকের থাকা, খাওয়া বা ঘুরতে প্রয়োজনীয় তথ্যভাণ্ডারও তৈরি করতে চান তাঁরা। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকেই বাধ্যতামূলক ভাবে রাজ্যকে তথ্য দিতে হতে পারে। পরবর্তীকালে এই তথ্যভাণ্ডার ও পর্যটকদের প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে সংস্থাগুলির ‘রেটিং’ ব্যবস্থা চালুর ভাবনাও রয়েছে রাজ্যের।

ডেস্টিনেশন ইস্টে আসা বিদেশি সংস্থা পযর্টন, হোটেলের প্রতিনিধিদের বরাবর রাজ্যের পর্যটন সম্ভারের কিছুটা স্বাদ দিতে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ বার অন্যান্য জায়গার সঙ্গে সেই তালিকায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের প্রকল্প গজলডোবা। সেখানে লগ্নির সম্ভাবনাও তুলে ধরাও অন্যতম মূল লক্ষ্য। অত্রিবাবু জানান, ইতিমধ্যেই পর্যটন উন্নয়ন নিগম সেখানে কটেজ তৈরি করেছে। মুখ্যমন্ত্রী সময় দিলেই নতুনগুলির উদ্বোধন হবে। তিনটি বেসরকারি সংস্থাও আগ্রহ দেখিয়েছে। এই সম্মেলনে আসা প্রতিনিধিদেরও সেখানে লগ্নির বার্তা দিতে চায় রাজ্য।

পর্যটন দফতরের সচিব মনীশ জৈন জানান, গত তিন বছরে পর্যটন ক্ষেত্রে প্রায় ৩,৬০০ কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে। পাঁচ বছরে আরও ৫,৫০০ কোটি লগ্নি হবে বলে তাঁদের আশা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন