Nirmala Sitharaman

ঋণে জোর, ফের বৈঠকে অর্থমন্ত্রী

সম্প্রতি নির্মলা জানিয়েছেন, গত ১ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ৬.৪৫ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ বিলি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২০ ০৫:৩০
Share:

ছবি পিটিআই।

‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্যাকেজের একটা বড় অংশ ব্যাঙ্ক ঋণের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই ঋণ বণ্টন যাতে মসৃণ ভাবে হয়, তা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কর্ণধারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। শিল্পের জন্য ঋণের জোগান নিশ্চিত করতে যে ধরনের বৈঠক অতীতেও করেছে কেন্দ্র।

Advertisement

সরকারি সূত্রের বক্তব্য, গত ২৭ মার্চ ৭৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি তার সুবিধা ঋণগ্রহীতাদের কতটা দিয়েছে, বৈঠকে সে বিষয়ে জানতে চাইবেন অর্থমন্ত্রী। ব্যাঙ্কগুলি ঋণের কিস্তি স্থগিতের (মোরাটোরিয়াম) সুবিধা গ্রাহকদের ঠিক মতো দিয়েছে কি না, তা-ও নির্মলা বুঝতে চেষ্টা করবেন। একই সঙ্গে শিল্প, বিশেষ করে ছোট সংস্থার হাতে ঋণের জোগান যাতে নিশ্চিত করা যায়, তা-ও এই বৈঠকের অন্যতম উদ্দেশ্য। অনেকের বক্তব্য, লকডাউনের জেরে থমকে যাওয়া আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। যে অঙ্ক দেশের জিডিপির ১০% ঠিকই, কিন্তু তার বড় অংশই ঋণ হিসেবে জোগাবে ব্যাঙ্কগুলি। তা নিশ্চিত করাই কেন্দ্রের উদ্দেশ্য। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এ ক্ষেত্রে হাত খুলে ঋণ বিলি করতে গিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কাঁধে অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা আরও ভারী হবে না তো?

ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, গত ১১ মে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই দ্বিতীয় দফার ত্রাণের কাজ শুরু করে কেন্দ্র। গত বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্যাকেজের বিভিন্ন প্রকল্প সম্মতি পায়। সে কারণেই তখন বৈঠকের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

সম্প্রতি নির্মলা জানিয়েছেন, গত ১ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ৬.৪৫ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ বিলি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। ঋণ পেয়েছে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি সংস্থা, কৃষি ক্ষেত্র এবং ছোট ব্যবসা। অনেকের ব্যাখ্যা, কেন্দ্রের নির্দেশ সত্ত্বেও ব্যাঙ্কগুলি ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট হাত খুলছে না বলে অভিযোগ উঠছিল বিভিন্ন মহলে। সেই যুক্তি খণ্ডন করতেই এ ব্যাপারে পরিসংখ্যান দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্যাকেজের জন্য হাত খুলে ঋণ বিলি করতে গিয়েও আবার নতুন করে অনুৎপাদক সম্পদের মাথা চাড়া দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে না তো?

এ দিন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এন কে সিংহ বলেন, ত্রাণ প্রকল্পের ফলে ঘাটতি বাড়লেও তা পূরণের বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলতে পারে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে সমস্ত রাস্তা খোলা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানান, ঋণের পথ আরও খুলে দেওয়ায় মধ্যমেয়াদে রাজ্যগুলির সুবিধা হবে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্তে রাজ্যগুলির হাতে মোট ৪.২৮ লক্ষ কোটি টাকা আসতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন