ভারতের বাজারে নিসানের বাজি কম দামি ছোট গাড়িই

হঠাৎ করেই যেন ভারতে বেড়ে গিয়েছে কিছুটা বড় ধরনের ‘ইউটিলিটি ভেহিক্‌ল’ (ইউভি) বা কেজো গাড়ির চাহিদা। শিল্পমহলের একাংশ মনে করছে, এ দেশ ছোট গাড়িরই বাজার বলে যে-ধারণা তৈরি হয়েছিল, এ বার তা বদলানোর সময় এসেছে। তবে এই যুক্তি মানতে নারাজ এ দেশে জাপানি বহুজাতিক নিসান মোটর ইন্ডিয়ার এমডি অরুণ মলহোত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৬ ০৩:৩৯
Share:

হঠাৎ করেই যেন ভারতে বেড়ে গিয়েছে কিছুটা বড় ধরনের ‘ইউটিলিটি ভেহিক্‌ল’ (ইউভি) বা কেজো গাড়ির চাহিদা। শিল্পমহলের একাংশ মনে করছে, এ দেশ ছোট গাড়িরই বাজার বলে যে-ধারণা তৈরি হয়েছিল, এ বার তা বদলানোর সময় এসেছে। তবে এই যুক্তি মানতে নারাজ এ দেশে জাপানি বহুজাতিক নিসান মোটর ইন্ডিয়ার এমডি অরুণ মলহোত্র।

Advertisement

তাঁর দাবি, এখনও এ দেশে গাড়ির ক্রেতার সংখ্যা আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে অনেক কম। এবং, ভারতে নতুন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে কম দামি ছোট গাড়ির চাহিদাই আগামী দিনে আরও বাড়বে। আর সেই বিশ্বাস থেকেই ওই বাজার ধরার লক্ষ্যে আগামী মাসে আরও একটি ছোট গাড়ি ডাটসন ব্র্যান্ডের ‘রেডি-গো’ বাজারে আনছেন তাঁরা।

সংস্থাটি নিসান ও ডাটসন— দুই ব্র্যান্ডের গাড়িই বিক্রি করে। গোড়ায় অবশ্য দামি ব্র্যান্ড নিসানই এ দেশে পা রেখেছিল। পরে কম দামি গাড়ির বাজার ধরতে ডাটসনের গাড়িও এনেছে তারা। রেডি-গো গাড়িটির উপর থেকে কিছু দিন আগেই পর্দা তুলেছে সংস্থা। এটি তাদের ভাঁড়ারে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কম দামি গাড়ি। জুনের প্রথম সপ্তাহেই সেটি বাজারে আসার কথা। দাম এখনও না-জানালেও বাজারের জল্পনা তা ২.৫-৩.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকবে।

Advertisement

মলহোত্রের দাবি, এখনও ভারতে প্রতি ৬ জনের মধ্যে প্রায় ৫ জনের দু’চাকার গাড়ি থাকলে এক জনের যাত্রী গাড়ি থাকে। আগে চাকরির গোড়ায় দু’চাকার গাড়ি কিনতেন বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু এখন প্রথম গাড়ি কেনায় ক্রেতা অনেক বেশি সচেতন। গাড়ি সম্পর্কে ভাল খোঁজ-খবরও রাখেন। তাঁদের নজর মূলত ছোট গাড়ির দিকেই। পাশাপাশি তাঁর দাবি, এখনও ভারতে একটি ইউভি বিক্রি হলে যাত্রী গাড়ি (বা মূলত ছোট গাড়ি) বিক্রি হয় ৫টি। তাই ইউভি-র বিক্রি বৃদ্ধির হার বাড়লেও নতুন প্রজন্মের ক্রেতার হাত ধরে ছোট গাড়ির বাজারও বাড়বে।

তবে ভারতের গাড়ি বাজারে টিকে থাকতে হলে যে বিক্রি-পরবর্তী পরিষেবার উপর জোর দিতে হবে, মারুতি-সুজুকিকে দেখে সেটা বুঝছে বহুজাতিক সংস্থাগুলি। নিসানও জোর দিচ্ছে পরিষেবা পরিকাঠামোয়। স্থায়ী পরিষেবা কেন্দ্রের পাশাপাশি ‘মোবাইল’ কেন্দ্রও চালু করেছে তারা। মলহোত্র জানান, এখন ৩০টি মোবাইল কেন্দ্র আছে। এক বছরে তা ১০০-তে নিয়ে যাওয়াই সংস্থার লক্ষ্য। মূলত দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের শহরে পরিষেবা দেওয়াই লক্ষ্য এই মোবাইল কেন্দ্রগুলির। স্থায়ী পরিষেবা কেন্দ্রের চেয়ে ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি দূরের অঞ্চলে সেগুলি কাজ করবে। এ দিকে, স্থায়ী কেন্দ্রে ক্রেতাদের পরিষেবা দিতে ১৭ মে পর্যন্ত বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে সংস্থা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন