ছবি: সংগৃহীত।
ভারতে অনেক কর্মীই নিজের দক্ষতার তুলনায় অনেক নিচু মানের কাজ করতে বাধ্য হন। বেকারত্বের চেয়েও বড় সমস্যা এটাই। তিন বছরের উন্নয়ন কর্মসূচি পেশ করে এই মন্তব্য করেছে নীতি আয়োগ।
নীতি আয়োগ তার রিপোর্টে বলেছে, ‘‘অনেক সময়েই অভিযোগ আনা হয়, ভারত বৃদ্ধির পথে হাঁটলেও কর্মসংস্থানে ঘাটতিই মূল সমস্যা। কিন্তু ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিস (এনএসএসও)-এর সমীক্ষা ধারাবাহিক ভাবে জানাচ্ছে, গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বেকারত্বের হার বেশ কম ও স্থিতিশীল। আসল সমস্যা নিজের মানের অনেক ধাপ নীচে নেমে কর্মীদের নিচু স্তরের কাজ করতে বাধ্য হওয়া। আর, এটাই ডেকে আনছে আধা বেকারত্ব।’’
এর দাওয়াই হিসেবে কিছু প্রস্তাব এনেছে নীতি আয়োগ। সেগুলির মধ্যে রয়েছে:
• উৎপাদনশীলতা বেশি, এমন কাজের সুযোগ তৈরি
• উঁচু বেতনের কাজ বাড়িয়ে জোর দক্ষতার স্বীকৃতিতে
• আমদানি কমিয়ে এনে দেশের বাজার বাড়ানোর নীতি হাতে নেওয়া
• রফতানির জন্য উৎপাদন বাড়ানো
• মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির পরের ধাপে বিশ্ব বাজারের জন্য উৎপাদন বাড়ানোয় গুরুত্ব
এ প্রসঙ্গে নীতি আয়োগ দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, চিনের মতো বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়েছে, যারা দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে নিজেদের উৎপাদন। সেই ধাঁচে ভারতকে এগোনোর পরামর্শ দিয়েছে নীতি আয়োগ।
পাশাপাশি, চিনের বিভিন্ন বহুজাতিক এই মুহূর্তে কম খরচে উৎপাদন করতে অন্য দেশে কারখানা গড়তে আগ্রহী। মূলত শ্রমিক নির্ভর এই সব সংস্থার জন্যই উপকূল এলাকায় কারখানা গড়ার সুযোগ দিতে বলেছে নীতি আয়োগ।
আর সেই লক্ষ্যেই ‘কোস্টাল এমপ্লয়মেন্ট জোন’ তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে তাদের রিপোর্টে। নীতি আয়োগের দাবি, দেশে উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্প সংস্থা বাড়ালে তা কর্মী-দক্ষতার স্বীকৃতি ফেরাতে অনেক দূর হাঁটতে পারবে।