নীতি আয়োগের পরিসংখ্যান তরজা তুঙ্গে।
যে বৃদ্ধিকে প্রচারের হাতিয়ার করতে আপ্রাণ চেষ্টা, বিরোধীরা তাকে প্রশ্নবাণে বিঁধতেই ময়দানে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর দাবি, এই হিসেবে কোনও গরমিল নেই। বৃদ্ধির দৌড়ে ইউপিএ জমানা পিছিয়ে পড়াতেই তাদের এত আপত্তি। বিরোধীরা অবশ্য সেই যুক্তিতে কান দিতে নারাজ। তাঁদের প্রশ্ন, এই তথ্য তৈরিতে নীতি আয়োগের ভূমিকা কী?
বুধবার পরিসংখ্যান মন্ত্রক ও নীতি আয়োগের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, জিডিপি মাপার নতুন ফিতেয় ২০০৫-০৬ থেকে ২০১১-১২ পর্যন্ত বৃদ্ধি কমেছে। যা দেখে কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, মনমোহন আমলকে খাটো দেখাতেই এই ‘কারচুপি’। প্রশ্ন ওঠে, লোকসভা ভোটের আগে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে? অনেকের আবার প্রশ্ন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরে কি পরিসংখ্যান মন্ত্রকের কাজেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে?
বৃহস্পতিবার জেটলির দাবি, এই পরিসংখ্যান বিশ্বাসযোগ্য। তাঁর যুক্তি, ‘‘যে কোনও সরকারের আমলেই পরিসংখ্যান মন্ত্রক নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করেছে। ...ভারতে কেউ কখনও তার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি।’’
মনমোহন জমানার বৃদ্ধির হিসেব প্রকাশে নীতি আয়োগ সক্রিয় কেন, এই প্রশ্নও তুলেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম-সহ বিরোধীরা। প্রাক্তন মুখ্য পরিসংখ্যানবিদ প্রণব সেনও বলেন, ‘‘আগে পরিসংখ্যান মন্ত্রকের কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হত না। প্রধানমন্ত্রীও পরিসংখ্যান প্রকাশের আগে তা জানতেন না। এখন নীতি আয়োগের সঙ্গে কাজ হলে মন্ত্রকের বিশ্বাসযোগ্যতা লঘু হয়ে যায়। কারণ তারা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।’’
নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ রাজীব কুমারকে প্রকাশ্যে বিতর্কের চ্যালেঞ্জও জানান চিদম্বরম। তা গ্রহণ করে কুমার বলেন, ‘‘স্বনামধন্য পরিসংখ্যানবিদরা এই তথ্য খতিয়ে দেখেছেন।’’