দেওয়াল লিখন ছিলই। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ন্যানো তৈরি ও বিক্রি বন্ধের ইঙ্গিত দিলেন খোদ টাটা মোটরসের অন্যতম শীর্ষ কর্তা। শেষ পর্যন্ত তা ঘটলে বাজারে আসার এক দশক পরে দাঁড়ি পড়বে রতন টাটার স্বপ্নের ‘এক লক্ষ’ টাকার গাড়ি প্রকল্পে।
সংবাদ সংস্থার খবর, হায়দরাবাদে তাঁদের নতুন গাড়ি বাজারে আনার অনুষ্ঠানের ফাঁকে বৃহস্পতিবার টাটা মোটরসের যাত্রীবাহী গাড়ি ব্যবসার প্রেসিডেন্ট ময়াঙ্ক পারীক বলেছেন, ‘‘জানুয়ারিতে নতুন নিরাপত্তা বিধি এসেছে। এপ্রিল ও অক্টোবরে আরও আসবে। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ভারত স্টেজ৬ (বিএস৬) দূষণ বিধি চালু হবে। সেগুলি মেনে সব গাড়িকে উন্নীত করার জন্য আমরা নতুন লগ্নি না-ও করতে পারি। ন্যানো তাদের মধ্যে অন্যতম।’’
বস্তুত, নতুন নিয়মের জন্য অনেক গাড়ি সংস্থাই তাদের কম দামি গাড়িগুলিকে সেই অনুযায়ী উন্নীত করে না। টাটা মোটরস সেই যুক্তির কথা বললেও সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ন্যানো সফরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছলেও বাস্তব মেনে তার উৎপাদনে দাঁড়ি টানতে পারছিল না টাটা মোটরস।
জন্মলগ্ন থেকেই বিতর্কে জড়িয়েছে ন্যানো। রাজনৈতিক গোলমালের জেরে কারখানা স্থানান্তরের জন্য বাজারে ন্যানো আসায় দেরি হয়েছে। পরেও সাফল্য পায়নি গাড়িটি। গত বছর জুনে মাত্র একটি ন্যানো তৈরি হয়েছিল। স্বয়ং রতন টাটাও মেনেছেন বিপণন কৌশলের ব্যর্থতার কথা। টাটা গোষ্ঠী থেকে বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির অভিযোগ ছিল, প্রকল্পটি নিয়ে টাটার আবেগ এবং ওই গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির সংস্থায় তাঁর অংশীদারির জন্যই ন্যানোর উৎপাদন বন্ধ করা যায়নি। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল টাটা মোটরস।