কৃষি-বাণিজ্য সম্মেলনে রাজ্যে গুরুত্ব পাবেন ঘরের উদ্যোগীরাই

শুধুই বড় শিল্পপতি নয়। এ বার স্থানীয় উদ্যোগীদের দিকেও নজর ফেরাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ।রাজ্যের যা আছে তা দিয়েই লগ্নিকারীদের আকর্ষণ করার নতুন নীতি নিচ্ছে সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৭ ০৩:১৩
Share:

শুধুই বড় শিল্পপতি নয়। এ বার স্থানীয় উদ্যোগীদের দিকেও নজর ফেরাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ।

Advertisement

রাজ্যের যা আছে তা দিয়েই লগ্নিকারীদের আকর্ষণ করার নতুন নীতি নিচ্ছে সরকার। যেখানে গুরুত্ব পাবেন মূলত ঘরোয়া উদ্যোগীরা। আর সে জন্যই ১৮-১৯ মে শিলিগুড়িতে কৃষি-বাণিজ্য শিল্প সম্মেলন আয়োজন করছে রাজ্য। লক্ষ্য, উত্তরবঙ্গের লঙ্কা, টম্যাটো, ভুট্টা আর আনারস চাষের বিভিন্ন পর্যায়ে পুঁজি ঢালার জন্য লগ্নিকারী খোঁজা। রাজ্যের দাবি, বীজ তৈরি থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াকরণ বা রফতানি পর্যন্ত লগ্নির সুযোগ রয়েছে এই সব ফল-সব্জিতে। পাশাপাশি ডাকা হয়েছে কৃষি-বাণিজ্য এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে যুক্ত বেশ কিছু বহুজাতিক সংস্থাকেও। আসবে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাও। এক শিল্প-কর্তা জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বহুজাতিকদের মেলবন্ধন ঘটানোও সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সম্মেলনের আয়োজন করছে শিল্প, কৃষি, কৃষি বিপণন, মৎস্য, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর। মূল উদ্যোক্তা দফতরের আমলারাই। তবে ১৮ মে-র সম্মেলনে উত্তরবঙ্গের চার মন্ত্রী হাজির থাকলেও, থাকছেন না শিল্প তথা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। নবান্ন সূত্রের খবর, তাঁর যা শারীরিক অবস্থা, তাতে তাঁকে বেশি ধকল নিতে বারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

তবে বাইরে থেকে আসা লগ্নির চেয়েও ঘরের উদ্যোগীদের দিকেই যে এ বার বেশি তাকানো হবে, সেই বার্তা অমিতবাবু সোমবার শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকেও দিয়েছেন। তাই রাজ্যের বড় শিল্প-কর্তাদের সঙ্গে প্লাস্টিক থেকে চামড়া, ফাউন্ড্রি থেকে হোসিয়ারি ক্ষেত্রের ব্যবসায়ীদেরও ডেকেছিলেন তিনি। বলেছেন, ‘‘তাঁদের সাফল্য প্রচার করেই লগ্নি টানার চেষ্টা হবে।’’

রাজ্য এই নীতিরই প্রথম প্রয়োগ করতে চায় শিলিগুড়িতে। শিল্প-কর্তাদের দাবি, কৃষি-বাণিজ্যে যুক্ত উত্তরবঙ্গের প্রায় ১০০০ জন ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীকে ডাকা হচ্ছে সম্মেলনে। থাকবে সরকারি সহায়তা কেন্দ্র ও ‘ফিনান্সিয়াল ক্লিনিক’। উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ী ও উৎপাদকদের যেমন সরকারি সাহায্যের কথা বলা হবে, তেমনই বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে কী ভাবে ঋণ মিলতে পারে তা-ও জেনে নিতে পারবেন তাঁরা।

মূলত উত্তরবঙ্গে উৎপাদিত লঙ্কা, টম্যাটো, আনারস, ভুট্টা যাতে নষ্ট না-হয়, তার জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা কী ভাবে আরও উন্নত করা যায়, তারও পথ সম্মেলনে খোঁজা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন