ভারতে ঋণ খেলাপ বা জালিয়াতি করে অভিযুক্তদের বিদেশে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনা দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। বিশেষ করে নীরব মোদী, বিজয় মাল্যের মতো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ভাবে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বারবারই। এই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে রবিবার ফেরার আর্থিক অপরাধী বিল সংক্রাম্ত অধ্যাদেশের সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্র। এর আওতায় আসবে ২০০ কোটি টাকার বেশি জালিয়াতি বা ঋণ খেলাপের মামলা।
এ দিনের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে—
• এক মাত্র এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর বা তার উচ্চ পর্যায়ের অফিসাররাই তল্লাশি এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিতে পারবেন।
• ইডি-র বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসের স্পেশাল ডিরেক্টর অব এনফোর্সমেন্টের দায়িত্ব হবে সেই বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি দেখাশোনার।
• স্থাবর সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ এবং দেখাশোনার ব্যবস্থাও করবেন তিনি।
• সোনাদানা, গয়না, নগদ বা ঋণপত্রের মতো সম্পদ জমা দিতে হবে নিকটস্থ সরকারি ট্রেজারি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শাখা, স্টেট ব্যাঙ্ক বা নির্দিষ্ট করে দেওয়া ব্যাঙ্কগুলিতে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসে পেশ করা অধ্যাদেশে আর্থিক প্রতারণার মামলায় অভিযুক্তেরা বিদেশে পালালে তাঁদের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের কথা বলা হয়েছে। এমনকী বিদেশে থাকা সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করারও বিধান রয়েছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, এর ফলে পাওনা টাকার বেশিটাই ফেরত পাওয়া সম্ভব হবে। ফলে চাপ বাড়বে ফেরার ব্যক্তির উপরেও।