সাবধানী বাজারে পড়ল সূচক

এনটিপিসি শেয়ারে ভাল সাড়া

চার দিন টানা ওঠার পরে মঙ্গলবার পড়ল বাজার। এক ধাক্কায় মুছে দিল আগের চার দিনে সূচক যতটা উঠেছিল, তার সিংহভাগই। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত এনটিপিসি-র শেয়ার কেনার জন্য ভারতীয় লগ্নিকারী সংস্থাগুলির মধ্যে ভাল উৎসাহ দেখা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০১:৩০
Share:

চার দিন টানা ওঠার পরে মঙ্গলবার পড়ল বাজার। এক ধাক্কায় মুছে দিল আগের চার দিনে সূচক যতটা উঠেছিল, তার সিংহভাগই। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত এনটিপিসি-র শেয়ার কেনার জন্য ভারতীয় লগ্নিকারী সংস্থাগুলির মধ্যে ভাল উৎসাহ দেখা গিয়েছে।

Advertisement

এ দিন সেনসেক্স পড়েছে ৩৭৮.৬১ পয়েন্ট। দাঁড়িয়েছে ২৩,৪১০.১৮ অঙ্কে। এর আগে গত চার দিনে সূচক উঠেছিল ৫৯৬.৮২ পয়েন্ট। তবে ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম ৩ পয়সা উঠেছে। দিনের শেষে এক ডলারের দাম হয়েছে ৬৮.৫৮ টাকা।

এক দিকে বাজেটের আগে মুনাফার টাকা তুলে নেওয়ার জন্য শেয়ার বিক্রির হিড়িক, অন্য দিকে বিশ্ব বাজারে তেলের দামে পতনের ফলে এশিয়া এবং ইউরোপের বাজারগুলির নেমে আসা— এই দুইয়ের জেরেই মঙ্গলবার দ্রুত পড়ে যায় ভারতের শেয়ার বাজার। আগামী কাল বৃহস্পতিবার আগাম লেনদেনের সেট্‌লমেন্টের দিন। এর ফলেও অনিশ্চিত বাজারে নতুন করে লগ্নি থেকে বিনিয়োগকারীরা বিরত ছিলেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজেটের আগে লগ্নিকারীরা শেয়ার ধরে রাখতে ভরসা পাচ্ছেন না। তাই সাবধানী বাজারে বিক্রির বহর বেড়েছে। তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন বাজারের নামা।

Advertisement

এ দিকে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিও ভারতের বাজারে এ দিন ২৮৯ কোটি টাকার শেয়ার বেচে। তবে এর ফলে যে-মাপের পতন হতে পারত, তা রুখে দিয়েছে ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলির শেয়ার কেনার বহর। বিদেশি সংস্থাগুলির বিপরীত পথে হেঁটে ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলি ২৫৭ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে, যা আরও বড় মাপের পতনের হাত থেকে বাজারকে রক্ষা করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ দিন বিশেষ করে পড়েছে ব্যাঙ্ক এবং আবাসন সংস্থার শেয়ারের দাম। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, আইসিআইসিআই, এইচডিএফসি এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের শেয়ার দর ৩.৯৪ শতাংশ পর্যন্ত পড়েছে।

এ দিকে রাষ্ট্রায়ত্ত এনটিপিসি-র ৫ শতাংশ বিলগ্নিকরণের জন্য এ দিনই বাজারে আসে সংস্থার শেয়ার। এই শেয়ার কেনার জন্য ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলির মধ্যে বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা গিয়েছে। এ দিন শুধুমাত্র ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলির কাছ থেকেই ওই শেয়ার কেনার আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। ইস্যু খোলার দু’ঘণ্টার মধ্যেই আবেদন সীমা ছাড়িয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এনটিপিসির ৫% বা ৪১.২২ কোটি শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। প্রতিটি শেয়ারের ন্যূনতম দাম ধার্য হয়েছে ১২২ টাকা। এর মধ্যে ৩২.৯৮ কোটি শেয়ার বেচা হবে শুধু ভারতীয় আর্থিক সংস্থাকে। আবেদনপত্র জমা পড়েছে ৩৮.৯২ কোটি শেয়ার কেনার জন্য।

আজ সাধারণ খুচরো লগ্নিকারীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। বাজারে ছাড়া সমস্ত শেয়ার বিক্রির পরে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘরে ৫০৩০ কোটি টাকার মতো আসার কথা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন