পশ্চিমবঙ্গে পেট্রল, ডিজেলের দাম লিটারে ১ টাকা কমানোর কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও বেশ কিছু রাজ্যে পেট্রোপণ্য দু’টির শুল্ক কমিয়েছে সেখানকার সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমজনতা কতটা স্বস্তি পাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। কারণ, বিশ্ব বাজারে চড়া অশোধিত তেলের দর ও টাকার সাপেক্ষে ডলারের উত্থান। দু’টিই এখন নামার মেজাজে নেই।
মঙ্গলবার প্রথম দিকে টাকা কিছুটা মুখ তোলায় আশা তৈরি হয়। কিন্তু বেলা গড়াতেই সেই ছবি বদলে যায় আশঙ্কায়। এক সময়ে ডলার পৌঁছে যায় ৭২.৭৪ টাকায়। যা নতুন রেকর্ড। পরে অবশ্য তা সামান্য নেমে থামে ৭২.৬৯ টাকায়। এ সত্ত্বেও এ দিন ডলারের উত্থান ২৪ পয়সা।
তার উপরে মঙ্গলবার বিশ্ব বাজারে ফের ব্যারেল পিছু ৭৮ ডলারের গণ্ডি পেরিয়েছে অশোধিত তেল। উৎপাদন বাড়ানোর কোনও ইঙ্গিত দেয়নি তেল উত্তোলনকারী দেশগুলি। ইরানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে সেখান থেকে তেল আমদানিও কমার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টাকার দামের এই পতন ও চড়া অশোধিত তেলের দরে বাড়বে আমদানির খরচ। ফলে দেশে বাড়বে পেট্রল, ডিজেলের দাম।
স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার রিপোর্ট বলছে, চড়া তেল ও ডলারের দামের হাত ধরে রাজ্যগুলি বাজেট লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বাড়তি ২২,৭০০ কোটি টাকা রাজকোষে পুরবে। অনেকের প্রশ্ন, এতে কেন্দ্র, রাজ্যের লাভ হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু আমজনতার স্বস্তি নেই। তার উপরে আগামী দিনেও তেলের দাম না কমলে তাঁদের ক্ষোভ যে আরও বাড়বে তাতে সন্দেহ নেই।