জুন পর্যন্ত উৎপাদন ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিতও দিয়েছে আন্তঃমন্ত্রিগোষ্ঠী। ছবি: সংগৃহীত।
ডিসেম্বর থেকে অশোধিত তেলের উৎপাদন দৈনিক ১২ লক্ষ ব্যারেল করে ছাঁটাই করছে ওপেক গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগী দেশগুলি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে বৈঠকে বসার কথা ছিল তাদের। কিন্তু সোমবার তা বাতিল করল আন্তঃমন্ত্রিগোষ্ঠী। জুন পর্যন্ত উৎপাদন ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিতও দিয়েছে তারা।
এরই মধ্যে ভারতে ডিজেলের দাম সামান্য কমলেও গত কয়েক দিনে বেড়েছে পেট্রলের দাম। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, জোগানের পাশাপাশি চাহিদার উপরেও পেট্রোপণ্যের দাম নির্ভর করে। ফলে এখনই না হলেও ওপেকের পদক্ষেপে দীর্ঘমেয়াদে দাম বাড়তে পারে সেগুলির। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট-কলকাতার অর্থনীতির অধ্যাপক পার্থ রায়ের বক্তব্য, চিন-মার্কিন শুল্ক যুদ্ধের ইতি না হলে তেলের চাহিদা ধাক্কা খেতে পারে। বেশ কয়েকটি দেশে বৃদ্ধি কমায় চাহিদা পড়েছে। পাশাপাশি, ইরান ও ভেনেজুয়েলার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় তেলের জোগানে টান পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে চাহিদা ও জোগানের টানাপড়েনের উপরেই দীর্ঘমেয়াদে তেলের দাম নির্ভর করবে বলে জানান পার্থবাবু।
প্রসঙ্গত, মাঝে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমায় জোগানে রাশ টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওপেক। তাদের লক্ষ্য, মজুত ভাণ্ডার কমানোও। আমেরিকা ইরান ও ভেনেজুয়েলার তেল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও বাজারে জোগান যথেষ্ট বলেই দাবি ওপেকের। তাদের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরবের তেলমন্ত্রী খলিদ আল-ফলি জানান, এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে উৎপাদনের আঁচ পাওয়া এপ্রিলেই সম্ভব নয়। মজুত ভাণ্ডার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকা পর্যন্ত উৎপাদন ছাঁটাই চলবে।