জিএসটি বিতর্কে হনুমান, মেসি

হনুমানের ক্ষমতা! কৌন বনেগা ক্রোড়পতি! ফুটবলের জার্সি! শিষ্যকে লেখা স্বামী বিবেকানন্দের চিঠি!জিএসটি নিয়ে রাজ্যসভার বিতর্কে চলে এল সব প্রসঙ্গই।লোকসভায় পাশের পর জিএসটি সংক্রান্ত চারটি বিল আজ রাজ্যসভায় পেশ করেন অরুণ জেটলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩০
Share:

অরুণ জেটলি

হনুমানের ক্ষমতা! কৌন বনেগা ক্রোড়পতি! ফুটবলের জার্সি! শিষ্যকে লেখা স্বামী বিবেকানন্দের চিঠি!

Advertisement

জিএসটি নিয়ে রাজ্যসভার বিতর্কে চলে এল সব প্রসঙ্গই।

লোকসভায় পাশের পর জিএসটি সংক্রান্ত চারটি বিল আজ রাজ্যসভায় পেশ করেন অরুণ জেটলি। জিএসটি নিয়ে আগেই ঐকমত্য হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও ঝুঁকি না-নিয়ে চারটি বিলকেই অর্থ বিলের তকমা দিয়েছেন জেটলি। যাতে রাজ্যসভা প্রশ্ন তুললেও তা লোকসভা খারিজ করতে পারে। এ নিয়ে ক্ষোভও জানান বিরোধীরা। তাদের যুক্তি, জেটলি রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে ওই সভার অধিকারই খর্ব করছেন।

Advertisement

সমাজবাদী পার্টির নরেশ অগ্রবাল বলেন, ‘‘হনুমানকে তাঁর ক্ষমতা বলার পরই তিনি নিজে বুঝেছিলেন। আপনি আমাদের হনুমান। এই সভার নেতা। আপনিই যদি সভার ক্ষমতায় আঘাত করেন, আপনার নিজের ক্ষমতাই খর্ব হবে।’’ তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন জেটলিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘মেসি, মারাদোনারা ১০ নম্বর জার্সি পরতেন। সব বিলকেই অর্থ বিলের তকমা দিতে জেটলি এত বার সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদের ব্যবহার করছেন যে, ওঁর জার্সি নম্বর ১১০ হওয়া উচিত।’’

আজ একইসঙ্গে বিজেপি ও কংগ্রেসকে দুষেছেন ডেরেক। যুক্তি দিয়েছেন, সরকার না বিরোধী আসন, কে কোথায় বসে, তার ভিত্তিতে জিএসটি নিয়ে দু’দলের অবস্থান বদলে গিয়েছে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী, তাঁর অর্থমন্ত্রী সৌরভ পটেল যে বরাবর জিএসটি-র কট্টর বিরোধিতা করে গিয়েছেন, তা চালু হলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে পড়বে বলে অভিযোগ এনেছেন, তার একাধিক নমুনা তুলে ধরেন ডেরেক। তিনি বলেন, বিজেপি ইউপিএ জমানায় ৪২৩ ঘন্টা সংসদ অচল করে রেখেছিল। এখন তারাই বিরোধীদের দায়িত্বশীল হওয়ার কথা বোঝাচ্ছে। যা হজম করা যায় না। তাঁর যুক্তি, তৃণমূল, সপা, বসপা, জেডি (ইউ), বামেদের মতো দলগুলি বরং জিএসটি-র সমর্থনে অনড় থেকেছে। কিন্তু কংগ্রেস-বিজেপি ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘‘১৭ বছর আগে যখন জিএসটি-র ধারণা এল, তখন কেবিসি বা কৌন বনেগা ক্রোড়পতি নিয়ে মানুষ বেশি ব্যস্ত ছিল। ১৭ বছর ধরেও কেবিসি-ই চলেছে, কব বনেগা কনসেনসাস!’’

বিজেপি-র ভূপেন্দ্র যাদব আবার জিএসটি-র পক্ষে বলতে গিয়ে শিষ্যকে লেখা স্বামী বিবেকানন্দের চিঠি পড়ে শোনান। তাঁর যুক্তি, স্বামীজি বলেছিলেন, প্রতিযোগিতা বাড়লে আর্থিক সুযোগ বাড়ে। জাতের ভেদাভেদ ঘোচে। জিএসটি চালু হলে প্রতিযোগিতা বাড়বে, আর্থিক সুযোগ বাড়বে। সামাজিক বৈষম্য ঘুচে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন