এক একটি বিমা সংস্থার উপর একটি বা দু’টি রাজ্যের সর্বত্র প্রচারের দায়িত্ব। —প্রতীকী চিত্র।
দেশে জীবন বিমার সুরক্ষা ছড়িয়ে দিতে পঞ্চায়েতকেও শামিল করা হবে, জানাল বিমা পরিষদ এবং এই ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক আইআরডিএআই। ভারতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিমা করানোর ঝোঁক কমায় উদ্বিগ্ন তারা। যে কারণে দেশ জুড়ে প্রচার চালাবে পরিষদ। সেই উদ্যোগেই শামিল করা হবে পঞ্চায়েতগুলিকে। বুধবার বিমা পরিষদের চেয়ারম্যান কমলেশ রাও জানান, এ জন্য বিমা সংস্থাগুলি যৌথ ভাবে বছরে ১৫০ কোটি টাকা করে তিন বছরে মোট ৪৫০ কোটি খরচ করবে। আইআরডিএআই-এর দাবি, ২৫,০০০ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে প্রতিটিতে অন্তত ১০% মানুষকে জীবন বিমা করানোই লক্ষ্য। এক একটি বিমা সংস্থার উপর একটি বা দু’টি রাজ্যের সর্বত্র প্রচারের দায়িত্ব। এ জন্য পরিষদের আওতায় প্রচার কমিটিও গড়া হয়েছে।
এ দিন প্রচার কমিটি জানিয়েছে, দেশের জিডিপি-তে জীবন বিমার প্রিমিয়ামের ভাগ (পেনিট্রেশন) তিন বছর ধরে কমছে। তা ২০২২-২৩ সালে ছিল ৪%, পরের বার নামে ৩.৭ শতাংশে। গত অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) আরও কমে হয়েছে ৩.২%। বিমা করানোর ঝোঁক কমাই এর কারণ, দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। রাও জানান, ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের মধ্যে জীবন বিমা রয়েছে মাত্র ৩৬ কোটির।বিমা পরিষদ জানিয়েছে, জীবন বিমার প্রসার না হওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনে আর্থিক ঝুঁকি বেড়েছে। কমেছে নিরাপত্তা। দেশবাসীর মাত্র ১২ শতাংশের অ্যানুইটি বা পেনশন প্রকল্প রয়েছে। অবসর নিতে চলেছেন এমন ৭০ শতংশেরই তা নেই।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে