অনুৎপাদক সম্পদে কাহিল দেশের ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋণে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিধিনিষেধ (পিসিএ) জারি করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল কেন্দ্র। অভিযোগ তুলেছিল, এতে পুঁজির জোগান ধাক্কা খাওয়ার। কিন্তু সোমবার শীর্ষ ব্যাঙ্কের ষাণ্মাসিক আর্থিক স্থিতিশীলতা রিপোর্ট জানাল, ব্যাঙ্কিং শিল্পের আর্থিক স্বাস্থ্য শোধরাতে কাজে দিয়েছে ওই পিসিএ ব্যবস্থাই। রাশ টানা সম্ভব হয়েছে এই শিল্পে বাড়তে থাকা লোকসানে।
রিপোর্টে দাবি, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে ব্যাঙ্কগুলিতে গত তিন বছরে এই প্রথম অনুৎপাদক সম্পদের অনুপাত কমেছে। আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের দাবি, ‘‘দীর্ঘ দিন চাপে থাকার পরে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র চাঙ্গা হওয়ার পথে।’’
দেউলিয়া আইন ব্যাঙ্ক ঋণ শোধের জমি আরও পোক্ত করবে বলেও জানিয়েছে রিপোর্ট। সওয়াল করেছে, এনবিএফসিগুলিতে নগদের সঙ্কট এড়াতে আর্থিক ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রকদের একসঙ্গে কাজ করার।
আশা-ভরসা
• ব্যাঙ্কিং শিল্প চাঙ্গার পথে। অনুৎপাদক সম্পদ কমছে।
• মার্চের ১১.৫% থেকে কমে মোট অনুৎপাদক সম্পদ ১০.৮%। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ১৫.২% থেকে কমে ১৪.৮%।
• পিসিএ ব্যবস্থা ব্যাঙ্কিং শিল্পে ক্ষতি কমাতে সাহায্য করেছে।
যা করা জরুরি
• রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির পরিচালন ব্যবস্থায় সংস্কার।
• নতুন মূলধন ঢেলে দুর্বল ব্যাঙ্কগুলিকে সাহায্য করা।
• আর্থিক গোষ্ঠীগুলিতে কড়া নজরদারি। যাতে গোষ্ঠীভুক্ত সংস্থাগুলির লেনদেনের ক্ষেত্রে নিয়ম এড়ানো ঝুঁকি না বাড়ায়।
• ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির শক্ত হাতে ঝুঁকি সামলানো। সাবধানি ও উদ্যোগী হওয়া।
• সব নিয়ন্ত্রকের মিলেমিশে কাজ।
বার্তা
• মোট অনুৎপাদক সম্পদ মার্চে কমে হতে পারে ১০.৩%।
• আর্থিক গোষ্ঠীকে সংস্থাগুলির মধ্যে লেনেদেন-সহ সব তথ্য দিতে হবে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে।
ঝুঁকি কোথায়
• বিশ্বের উন্নত অর্থনীতিগুলির রক্ষণশীল বাণিজ্য নীতি ও ঘোরালো আর্থিক অবস্থা। বাড়তে থাকা রাজনৈতিক চাপ।
• দেশে কিছুটা শ্লথ বৃদ্ধি।
• এনবিএফসিগুলির অনুৎপাদক সম্পদ ঋণের তুলনায় বেড়ে ৬.১% হওয়া।