অসংগঠিত ক্ষেত্রে পেনশনের খুঁটিনাটি জানাল কেন্দ্র

অসংগঠিত ক্ষেত্রে মাসে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা কর্মীদের জন্য পেনশন চালুর ঘোষণা অন্তর্বর্তী বাজেটেই করেছিল কেন্দ্র। এ বার তার খুঁটিনাটি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল শ্রম মন্ত্রক। এক ঝলকে মূল বিষয়গুলি—অসংগঠিত ক্ষেত্রে মাসে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা কর্মীদের জন্য পেনশন চালুর ঘোষণা অন্তর্বর্তী বাজেটেই করেছিল কেন্দ্র। এ বার তার খুঁটিনাটি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল শ্রম মন্ত্রক। এক ঝলকে মূল বিষয়গুলি—

Advertisement
শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:১১
Share:

প্রকল্প: প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন। হচ্ছে অসংগঠিত কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা আইন (২০০৮) মেনে।

Advertisement

চালুর দিন: ১৫ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন থেকেই নাম লেখানো যাবে এতে।

যোগ্য কারা: শুধু অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা। যেমন, মিড ডে মিল কর্মী, মুচি, ভূমিহীন কর্মী, রিকশাচালক, নির্মাণ কর্মী, পরিচারক/ পরিচারিকা ইত্যাদি। তবে মাসে তাঁর আয় হতে হবে ১৫,০০০ টাকার মধ্যে।

Advertisement

সদস্য হলে: প্রকল্পে যোগ দিলে, ফি মাসে কিছু টাকা জমা দিতে হবে কর্মীকে। সম পরিমাণ টাকা জমা দিতে থাকবে কেন্দ্র। অর্থাৎ, কেউ মাসে ১০০ টাকা দিলে, ১০০ টাকা করে দেবে সরকারও।

কত দিতে হবে: কে কোন বয়সে প্রকল্পে যোগ দিচ্ছেন, তার উপরেই নির্ভর করবে তাঁকে গুনতে হওয়া টাকার অঙ্ক। যেমন, কেউ ১৮ বছর বয়সে যোগ দিলে, মাসে দিতে হবে ৫৫ টাকা। ২৯ বছরে এলে লাগবে ১০০ টাকা। ২০০ টাকা দিতে হবে ৪০ বছরে শুরু করলে।

যোগ দেওয়ার বয়স: প্রকল্পে যোগ দিতে বয়স হতে হবে অন্তত ১৮ বছর। তেমনই তা করা যাবে বয়স ৪০ বছর পর্যন্ত হলে। তবে টাকা গুনে যেতে হবে ৬০ বছর পর্যন্তই।

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট: নিজের নামে সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতেই হবে। থাকতে হবে আধারও।

পেনশন কত: নিয়ম মেনে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে টাকা গুনে গেলে, তার পরে পেনশন মিলবে মাসে ৩,০০০ টাকা। এর জন্য একটি পেনশন তহবিল তৈরি করবে কেন্দ্র।

কিন্তু শর্ত: জাতীয় পেনশন প্রকল্প (এনপিএস), কর্মী পিএফ প্রকল্প (ইপিএফ), এমপ্লয়িজ স্টেট ইনশিওরেন্স কর্পোরেশন প্রকল্পে শামিল থাকলে নতুন প্রকল্পের সুবিধা মিলবে না। এই সুবিধা পাওয়া যাবে না আয়করদাতা হলেও।

মৃত্যু বা দুর্ঘটনা: নিয়মিত টাকা দিয়ে যাওয়ার সময়ে মাঝপথে মৃত্যু হলে, প্রকল্প চালিয়ে যেতে পারবেন তাঁর স্বামী/ স্ত্রী। সে ক্ষেত্রে বাকি সময় নিজের ভাগের টাকা দিতে হবে তাঁকে।চাইলে প্রকল্প ছাড়তে পারবেন মৃত ব্যক্তির স্বামী/ স্ত্রী। সে ক্ষেত্রে তত দিন পর্যন্ত গোনা টাকা সুদ সমেত ফেরত পাবেন তিনি।

টাকা জমা দেওয়াকালীন কেউ পঙ্গু হয়ে গেলে, তাঁর স্বামী/ স্ত্রী বাকি সময় টাকা গুনে প্রকল্প চালিয়ে যেতে পারেন। নয়তো তত দিন পর্যন্ত গোনা টাকা তুলে নিতে পারেন সুদ সমেত।

পেনশন পাওয়ার সময়ে মারা গেলে অবশ্য তাঁর স্বামী/ স্ত্রী তার পর থেকে অর্ধেক পেনশন পাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন