Petrol

হাড় জ্বালানি! কলকাতাতেও এ বার পেট্রলের দাম দ্রুত সেঞ্চুরির পথে

ইতিমধ্যেই রাজস্থান-সহ ছ’টি রাজ্যের বহু জায়গায় পেট্রল ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। প্রথম মেট্রো শহর হিসেবে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে মুম্বই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২১ ০৬:২৮
Share:

—ফাইল চিত্র

দৌড় অব্যাহত রেখে আজ, রবিবার ফের বাড়ল তেলের দর। কলকাতায় পেট্রলের দর পেরোল লিটারে ৯৫ টাকা। ডিজেল ৮৯ টাকা ছুঁইছুঁই। পাঁচ রাজ্যে ভোট মেটার পর থেকে প্রায় রোজই দেশে নতুন নজির গড়ছে জ্বালানির দাম। তেলের দর বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধির হারের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের কিছু করা উচিত বলে শনিবার মন্তব্য করেছেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। তবে একই সঙ্গে এ ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার কথাও বলেছেন তিনি। পাশাপাশি স্টেট ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ সৌম্যকান্তি ঘোষের মতে, তেলের দর চড়া থাকলে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন।

Advertisement

আজ কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে লিটারে পেট্রলের দর ২৬ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৯৫.০২ টাকা। ২৯ পয়সা বেড়ে ডিজেল ৮৮.৮০ টাকা। ইতিমধ্যেই রাজস্থান-সহ ছ’টি রাজ্যের বহু জায়গায় পেট্রল ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। প্রথম মেট্রো শহর হিসেবে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে মুম্বই। দরে পিছিয়ে থাকলেও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির হার পেট্রলের চেয়ে বেশি। পণ্য ও গণ পরিবহণে ডিজেল ব্যবহৃত হওয়ায় জিনিসের দাম বাড়ছে। কেন্দ্র অবশ্য এ জন্য বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর বৃদ্ধি ও রাজ্যগুলির চড়া ভ্যাট-কেই দায়ী করেছে। বিরোধীদের পাল্টা দাবি, মোদী জমানায় যে তেলে বিপুল শুল্ক বৃদ্ধিতে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের, সে কথা তারা বলছে না।

শুল্ক বাড়িয়ে কেন্দ্র যে বিপুল আয় করেছে, তা স্পষ্ট হয়েছে পরোক্ষ কর আদায়ের সরকারি পরিসংখ্যানেও। এই অবস্থায় এ দিন কুমার সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘তেলের দর বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের কিছু করা উচিত। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার দায়বদ্ধ।’’ তবে সেই সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার কথাও বলেছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এ ক্ষেত্রে সরকারে আয়ের প্রসঙ্গকেই ইঙ্গিত করছেন আয়োগ কর্তা।

Advertisement

ইথানলে জোর: দেশের জ্বালানি চাহিদার প্রায় ৮৫% আমদানি নির্ভর। সেই খাতে খরচ কমাতে পেট্রলে ইথানল মেশানোয় জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। সে ব্যাপারে তাঁরা যে বদ্ধপরিকর, তার ইঙ্গিত দিয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন, ২০৩০ নয়, ২০২৫ সালের মধ্যেই ২০% ইথানল মেশানোর লক্ষ্য পূরণ করতে হবে।

২০১৪ সালে পেট্রলে ১%-১.৫% ইথানল মেশানো হত। গত বছর কেন্দ্র জানায়, ২০২২ সালের মধ্যে তা ১০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে। আর ২০৩০-এর মধ্যে ২০ শতাংশে। এখন যা ৮.৫%। কেন্দ্রের যুক্তি, আখ, ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্যশস্য, কৃষিবর্জ্য থেকে তৈরি ইথানলের দূষণ ক্ষমতা কম। এর উৎপাদন বাড়লে চাষিদের বিকল্প আয়ের রাস্তাও খুলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন