কোন ইঞ্জিন, অনিশ্চয়তায় গাড়ি শিল্প

এর আগে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কাছাকাছি এসে পড়ায় হঠাৎ বদল এসেছিল চাহিদায়। আর এ বার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দূষণ নিয়ে কড়াকড়ির কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তায়। পেট্রোল ও ডিজেল গাড়ির চাহিদার ভারসাম্য এ ভাবে বারবার প্রায় ‘বিনা নোটিসে’ বদলালে, তা তাদের সমস্যার মুখে ফেলছে বলে অভিযোগ তুলল গাড়ি শিল্প। দাবি জানাল, এ নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সুষ্ঠু নীতি তৈরির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৬ ০৩:৪৮
Share:

এর আগে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কাছাকাছি এসে পড়ায় হঠাৎ বদল এসেছিল চাহিদায়। আর এ বার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দূষণ নিয়ে কড়াকড়ির কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তায়। পেট্রোল ও ডিজেল গাড়ির চাহিদার ভারসাম্য এ ভাবে বারবার প্রায় ‘বিনা নোটিসে’ বদলালে, তা তাদের সমস্যার মুখে ফেলছে বলে অভিযোগ তুলল গাড়ি শিল্প। দাবি জানাল, এ নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সুষ্ঠু নীতি তৈরির।

Advertisement

দূষণ কমাতে দিল্লি ও তার সংলগ্ন ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নে (এনসিআর) ২,০০০ সিসি-র থেকে বড় নতুন ডিজেল গাড়ির বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গাড়ি শিল্পের দাবি, এর প্রভাব পড়ছে অন্য জায়গা ও অন্য ডিজেল গাড়ির উপরেও। অনিশ্চয়তার কারণে হঠাৎই ডিজেলের চেয়ে চাহিদা বাড়ছে পেট্রোল গাড়ির। ফলে তা তৈরির উপরেও জোর দিচ্ছে অনেক সংস্থা।

যেমন, টয়োটার ভাইস প্রেসিডেন্ট শৈলেশ শেট্টি জানাচ্ছেন, দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ইনোভা-র জন্য পেট্রোল ইঞ্জিন তৈরির পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। আবার নিজেদের প্রথম কমপ্যাক্ট এসইউভি ‘বিআরভি’-র পেট্রোল ও ডিজেল গাড়ির চাহিদা প্রায় সমান হওয়ার বিষয়টি মাথায় রাখছে হোন্ডাও। শুক্রবার কলকাতার বাজারে ইনোভা-ক্রিস্টা (১৪.২৪ লক্ষ থেকে ২১.৩১ লক্ষ টাকা) গাড়িটি এনেছে টয়োটা। এ দিন শহরে বিআরভি এনেছে হোন্ডাও। বিআরভি পেট্রোল গাড়ির দাম শুরু ৯.০৪ লক্ষ টাকা থেকে, ডিজেল ১০.২১ লক্ষ থেকে।

Advertisement

হোন্ডার ডিরেক্টর (সেলস) জ্ঞানেশ্বর সেন ও টয়োটার শেট্টির প্রশ্ন, ১৫-২০ বছরেরও বেশি পুরনো অনেক গাড়ি (যেগুলি ভারত স্টেজ-৪ দূষণ বিধির আগের) ভারতে চলে। দিল্লির রাস্তায় চলে পুরনো ট্রাক। সেগুলি বন্ধ না করে নতুন ডিজেল গাড়িতে নিষেধাজ্ঞা কেন?

এর আগে দেশে পেট্রোল আর ডিজেলের দামে ফারাক ছিল অনেক বেশি। তা ছাড়া, এসইউভি-তে ডিজেল ইঞ্জিনের চাহিদাও বেশি হয়। তখন তা না থাকায় ভুগতে হয়েছিল হোন্ডাকে। তারা বাধ্য হয় ডিজেল ইঞ্জিন তৈরিতে। কিন্তু এখন দূষণ সমস্যার অভিযোগের জেরে তারা উল্টো সমস্যায়। জ্ঞানেশ্বরবাবু জানান, আগে ডিজেল গাড়ির চাহিদা প্রায় ৮০% হলেও এখন তা প্রায় অর্ধেক। তাঁর মতে, ‘‘হঠাৎ এ ভাবে চাহিদা বদলালে মানিয়ে নিতে সময় লাগে।’’ তাঁদের মতে, এ নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ও সুষ্ঠু নীতি প্রয়োজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন