প্রতীকী ছবি।
পাইকারি বাজারে (যেখানে সংস্থাগুলির থেকে কেনে ডিলার) ব্যবসায়িক পরিস্থিতির খতিয়ান দিতে গিয়ে সমস্যার গভীরে আতসকাচ ধরল গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়াম। আগামী দিনে বিক্রি বৃদ্ধির ইঙ্গিত করেও জোর দিল ক্ষতির বহর বোঝানোয়। এ জন্য চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ন’মাসের বিক্রি দেখিয়েছে তারা। তাদের দাবি, করোনাকালের কিছুটা সময় চাহিদা এমন তলিয়েছে যে, কিছু গাড়ির ব্যবসা পিছিয়ে গিয়েছে ১০ বছর আগের অবস্থায়, কিছু ক্ষেত্রে ২০ বছর আগের। শিল্প মহল বলছে, ঘুরে দাঁড়ানো আসলে কতটা কঠিন এবং কোভিড পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরতে বাস্তবে কতটা পথ হাঁটতে হবে সেটাই স্পষ্ট করা হল। তবে কত দিনে এই বিপুল ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব, তা নিয়ে ধন্দে সিয়াম।
শিল্পের একাংশের মতে, সংক্রমণ এড়াতে অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি চাইছেন। তাই লকডাউনের পরে শো-রুমে ভিড় হচ্ছে। তবে এর ধারাবাহিকতা নিয়ে ধন্দ থাকছেই। বৃহস্পতিবার সিয়ামের প্রেসিডেন্ট কেনিচি আয়ুকায়া এবং ডিজি রাজেশ মেনন ডিসেম্বরের পাশাপাশি চলতি অর্থবর্ষের বিভিন্ন সময়ে পাইকারি বাজারে গাড়ি বিক্রির তথ্য প্রকাশ করেন। কেনিচির দাবি, এখনও বিক্রি মূলত লকডাউনের সময়ে জমে থাকা চাহিদার উপর ভর করেই হচ্ছে। অর্থাৎ, নতুন চাহিদা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
কেনিচির মতে, অর্থনীতির ঝিমুনিতে ২০১৯-২০ সালেই গাড়ি বিক্রি কমেছিল। ফলে তার ভিত্তিতে বিক্রির হিসেব ব্যবসার সঠিক ছবি তুলে ধরবে না। তাই প্রতি মাসের বিক্রি সেই হিসেবে কতটা বাড়ছে তাকে আমল না-দিয়ে এপ্রিল-ডিসেম্বরে ব্যবসা কোথায় দাঁড়িয়ে, সেই তথ্যে জোর দিয়েছেন তাঁরা। আর তাতেই স্পষ্ট গাড়ি বিক্রির নিরিখে কত বছর পিছিয়েছে শিল্প। কেনিচির কথায়, ‘‘সেই ব্যবসা পুনরুদ্ধার করতে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।’’ সিয়ামের দাবি, ২০১০-২০১৫ সালে পাইকারি বিক্রির বার্ষিক বৃদ্ধির গড় হার ছিল ৯.৯%। ২০১৫-২০২০ সালে নেমেছে ১.৮%-এ। গত বছরের চেয়ে এ বার বিক্রি বাড়বে। তবে ভবিষ্যৎ আঁচ করা কঠিন।