রামনাথ কোবিন্দ। —ফাইল চিত্র।
স্বেচ্ছায় ঋণ খেলাপি যাতে নিলামে ওঠা নিজের সংস্থা ফের ঘুরপথে হাতে নিতে না-পারেন, তার জন্য অর্ডিন্যান্স (অধ্যাদেশ) জারির কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র। গতকালই ওই অধ্যাদেশে সায় পেতে তা পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। তাঁর কাছে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরেই সরকারি ভাবে ওই ঘোষণা করেছে মোদী সরকার।
গত বছর দেউলিয়া বিধি চালুর পরে ব্যাঙ্কের দেনা শোধ করতে না-পারা ১২টি সংস্থাকে দেউলিয়া ঘোষণা করে তাদের সম্পত্তি নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে নিজেদের সংস্থার সম্পত্তি কিনতে নিলামে আগ্রহ দেখায় ওই তালিকায় থাকা এসার স্টিলের মালিক রুইয়া গোষ্ঠী, জেপি অ্যাসোসিয়েটসের মালিকরা। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, এতে তো অনেক কম টাকায় (যেহেতু দেউলিয়া সংস্থা হিসেবে আসল দরের তুলনায় কমে তা বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা) নিজেদের সম্পদ ফিরে পাবে তারা। উপরন্তু বইতে হবে না ধারের বোঝাও। ফলে আশঙ্কা তৈরি হয় এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জালিয়াতির রাস্তা খোলার।
এ দিন বিবৃতিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, স্বেচ্ছায় ঋণ খেলাপের ইতিহাস রয়েছে কিংবা ঋণ (এমনকী তার সুদও) অন্তত এক বছরের জন্য শোধ না-করায় তা বদলে গিয়েছে অনুৎপাদক সম্পদে, এমন সংস্থাকে নিজের সম্পদ ফেরানোর নিলামে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। একই কথা প্রযোজ্য আগে ব্যাঙ্কের তাড়া সত্ত্বেও ঋণ শোধে আগ্রহ না-দেখানো সংস্থার ক্ষেত্রে।
কিন্তু বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে ভূষণ স্টিল, এসার স্টিলের দাবি, তারা স্বেচ্ছায় ঋণ খেলাপ করেনি। অনুমতি পেলে তাই নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী তারা। একই ইঙ্গিত ল্যাঙ্কো ইনফ্রাটেকের, যাদের অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকা। তবে ঋণ খেলাপিদের রুখতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন জেএসডব্লিউ স্টিলের চেয়ারম্যান সজ্জন জিন্দল।